জাতীয়

স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে আলোচনা আমাদের জন্য বেদনার: ফারুকী

বই মেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে যে আলোচনা সেটাকে বেদনার বলে উল্লেখ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

Advertisement

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন খুবই স্বাভাবিক একটা জিনিস। সরকার এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেখানে উইমেন হেলথ হাইজিন নিয়ে সারাদেশে সচেতনতা তৈরি করেছে এবং করছে সেখানে যে কোনো কারণেই হোক বই মেলায় এটাকে নিয়ে এই আলোচনাটা যে হইতে হলো এটা আমাদের জন্য বেদনার।

তিনি লিখেছেন, এই বিষয়ে যেসব ভাই-বোনেরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের সবার বক্তব্যের সঙ্গে আমরাও একমত। আপনাদের বিস্ময় এবং ক্ষোভ আমাদেরও। ফারুকী পোস্টে আরও লিখেছেন, যাই হোক বাংলা একাডেমী একটু আগেই বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে, যে আগামীকাল থেকে মেলাপ্রাঙ্গণে মেয়েদের ওয়াশরুমের পাশে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া অন্যান্য ব্যাপারেও তারা তাদের ব্যাখ্যা জানিয়েছে।

এর আগে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রদর্শিত নারীস্বাস্থ্য সুরক্ষার ‘স্টে সেইফ’ নামে স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রদর্শন ও বিক্রি বন্ধ করে দেয় বইমেলা কর্তৃপক্ষ। কিছু ইসলামিস্ট গ্রুপ ‘গোপন পণ্য’ আখ্যা দিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রকাশ্যে বিক্রি বা প্রদর্শনীতে আপত্তি জানায়। তাদের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা একাডেমি দুটি স্টল বন্ধ করে দিয়েছে।

Advertisement

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা থেকে পণ্যগুলো তুলে নেওয়া হয়। এর আগে গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সুপারিশ করা একটি চিঠিতে ‘স্টে সেইফ’ ব্র্যান্ডের মূল প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপকে স্টল বন্ধ অথবা অন্য কোনো পণ্য প্রতিস্থাপনের বিষয়ে বলা হয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের নারী ও শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষার পণ্য ব্র্যান্ড ‘স্টে সেইফ’ বইমেলা প্রাঙ্গণে দুটি স্টল পরিচালনা করে আসছে। প্রথম দিকে কোনো সমস্যা না থাকলেও ১১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে বেশ কিছু ইসলামিস্ট গ্রুপ ন্যাপকিনকে গোপন পণ্য বলে আখ্যা দেয় এবং এর প্রকাশ্য প্রদর্শনী বা বিক্রি বন্ধের দাবি জানায়। এর পরদিন আরও অনেক মানুষ প্রায় একই দাবি নিয়ে হাজির হয়। পরে বাংলা একাডেমি, পুলিশ, আনসারসহ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের ভলান্টিয়ারদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি ঠান্ডা করা হয়।

এদিকে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পণ্য কোনো গ্রুপ বা গোষ্ঠীর বাধায় বইমেলা থেকে অপসারণের চাপ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এমএসএম

Advertisement