ক্যাম্পাস

শেকৃবিতে ক্লাস প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে হাতাহাতি, আহত এক

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের লেভেল -২ সেমিস্টার -২ এ অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীর নাম দূর্জয় কুমার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিএম অনুষদের একই বর্ষের শিক্ষার্থী।

অনুষদের শিক্ষার্থীরা জানান, ক্লাস প্রতিনিধি নির্বাচন ও পরীক্ষা দেওয়াকে কেন্দ্র করে মতবিরোধ দেখা দেয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সিআরসিপ ত্যাগ করেন সেকশনটির সদ্য সাবেক ক্লাস প্রতিনিধি সজীব। পরে ক্লাস থেকে ফেরার পথে আগের কথা কাটাকাটির জের ধরে শাহরিয়ার আলম হিমেল, তাওহীদ আহম্মেদ ও হাসিব হিমেল দূর্জয়কে মারধর করেন। এরপর দূর্জয়ের সহপাঠীরা অভিযুক্তদের রুম ভাংচুর করেন।

Advertisement

অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রি বিজনেস অনুষদের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এবং বিজয় -২৪ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন১৩ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ দিয়ে গেজেট জারিবেসরকারি পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য

ভুক্তভোগী দুর্জয় কুমার বলেন, তারা তিন জন আগে থেকে এখানে ছিলেন। আমি আসার সময় তারা আমাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞেস করেন আমি সকালে কী বলেছি? পরে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে আমাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন।

অভিযুক্তদের বহিষ্কার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন অনুষদের লেভেল -২ সেমিস্টার -২ এর শিক্ষার্থীরা। আবেদনপত্রে তারা উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী (হিমেল, তাওহীদ ও হাসিব) ভুক্তভোগীকে বাইসাইকেল থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করেন‌। এছাড়াও অভিযোগপত্রে নারীদের উত্ত্যক্ত ও মাদক সেবনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে তাওহীদ আহম্মেদ বলেন, যত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সব মিথ্যা। বন্ধুদের মধ্যে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে, যা শিগগির মিটমাট হয়ে যাবে।

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আরফান আলী বলেন, এ বিষয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।

সাইদ আহম্মদ/কেএসআর/জেআইএম