বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাদেকুল ইসলামের (২৮) মরদেহ কবর থেকে তুলতে দেয়নি তার পরিবার।
Advertisement
আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কালিকাবাড়ি গ্রামে মরদেহ তুলতে গেলে নিহত সাদেকুলের পরিবারের সদস্যরা আপত্তি জানান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান।
জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফসান রাব্বি জাগো নিউজকে বলেন, আদালতের নির্দেশে পুলিশের সহায়তায় মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে নিহত সাদেকুলের পরিবার আপত্তি জানায়। এসময় নিহতের স্ত্রী সাহিদা বেগম মরদেহ উত্তোলন না করতে লিখিতভাবে জানানোয় মরদেহ উত্তোলন করা হয়নি। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ জোনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি, পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ নিহতের কবর জিয়ারত করে মোনাজাত করেন।
সাদেকুল ইসলামের বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, আমার ছেলে ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মারা গেছে। এটা এলাকাবাসীসহ সবাই জানে। এটা তদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করতে আমি চাই না। প্রয়োজনে আমি লিখিতভাবে সাক্ষী দেবো।
Advertisement
এর আগে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাদেকুল। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট সাদেকুলের স্ত্রী সাহিদা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
এমডিকেএম/এএমএ