দেশজুড়ে

কুয়াকাটায় সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জহিরুল ইসলাম মিরন নামের এক সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসার সামনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

Advertisement

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটার তুলাতলী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তার নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটা হাসপাতালে, পরে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশালে পাঠান।

আহত ওই সাংবাদিক কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশনের কুয়াকাটা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

Advertisement

আহতের মা জানান, চিৎকার শুনে আমরা বাসা থেকে বের হয়ে একজনকে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখি। তুলে দেখি আমার ছেলে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাই। আমার ছেলেকে যারা নৃশংসভাবে আঘাত করেছে তাদের বিচার চাই।

এদিকে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন ঢাকা থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় গাড়ি থেকে বাসার সামনে নামলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে রাত গভীর থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা কিংবা বাসার মানুষ টের পায়নি।

ওসি বলেন, ইতোমধ্যে ফিলিং স্টেশন এবং আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। আমাদের তদন্ত চলমান আছে। আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করতে না পারলেও আশা করি দ্রুতই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রিয়াজ জানান, জহিরুলের আঘাত গুরুতর। বাম হাতের কনুইয়ের ওপরে এবং বাম হাতের কবজিতে বেশি আঘাত পেয়েছেন। এছাড়া মাথা, দাঁড়ি ও মুখমণ্ডলে বেশ কয়েকটি কোপ রয়েছে।

Advertisement

এদিকে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম।

ইউএনও বলেন, মিরন ভাইকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালে পাঠানো হয়েছে। দুই হাত, মাথায় এবং দাঁড়ির নিচে জখম করেছে। এছাড়া বুকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। প্রশাসনবান্ধব একজন সাংবাদিকের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ব্যথিত।

এজেডএম/এএমএ