ক্যাম্পাস

পরীক্ষার কক্ষে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে তিতুমীরের শিক্ষার্থী

সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে টানা ছয়দিন অনশন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে অন্যতম ২০২২-২১ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রানা আহমেদ।

Advertisement

টানা অনশনের পর মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সাত কলেজের অধীনে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেন রানা। তার সিট পড়েছিল সরকারি বাঙলা কলেজে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়। সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যান রানা আহমেদ। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাঙলা কলেজ শাখা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও কলেজ প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থবোধ করায় আবারও তিনি পরীক্ষায় অংশ নেন।

এদিকে, রানা আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরে সরকারি বাঙলা কলেজে যান তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক কামরুল নাহার। তার সঙ্গে ছিলেন আরও তিন শিক্ষক।

Advertisement

অধ্যাপক কামরুল নাহার বলেন, টানা অনশনে রানা এমনিতেই অসুস্থ। তারপরও সে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিছু সময় পরীক্ষা দেওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে আবারও তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে আনা হয়। সে পরে বাকি সময় পরীক্ষা দিয়েছে।

জানা যায়, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় ৭ দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে তাতে যোগ দেন আরও দুজন। ২৯ জানুয়ারি দুপুরে গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া ওইদিন দুপুরে গুলশান-মহাখালী সড়কের দুই পাশেই বাঁশ ফেলে অবরোধ করেন।

৩০ জানুয়ারি রাতে শিক্ষার্থীরা ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পরে ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার পর তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা গুলশান-১ চত্বরে অবস্থান নিয়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেন। পরদিন ২ ফেব্রুয়ারি তারা আমতলী মোড়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করেন। সেদিন রাতে কমপ্লিট শাটডাউন ও সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেন।

৩ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রেল ও সড়কপথ অবরোধের পর তাদের সঙ্গে বসেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। আগামী সাতদিনের মধ্যে তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান না হলে তারা আবারও আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Advertisement

এএএইচ/এমএএইচ/