ইতেকাফকারী না হলে এবং মসজিদের বাইরে থাকার ব্যবস্থাপনা থাকলে শুধু ঘুমানোর জন্য মসজিদ ব্যবহার উচিত নয়।
Advertisement
ইতিকাফকারী মসজিদে ঘুমাতে পারেন। ইতেকাফকারীর জন্য মসজিদে ঘুমানো ও অবস্থান করা সওয়াবের বিষয়। যাদের মসজিদের বাইরে থাকার ব্যবস্থাপনা নেই অর্থাৎ মুসাফির, উদ্বাস্তু ও গৃহহীন ব্যক্তিরা বিকল্প ব্যবস্থা হওয়া পর্যন্ত মসজিদে ঘুমাতে পারেন।
সাহাবিদের অনেকে মাঝে-মধ্যে মসজিদে ঘুমিয়েছেন বলে বর্ণিত রয়েছে। সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, তিনি বলেন, একদিন আমি ত্রিশ দিরহাম মূল্যের একটি চাদরে মসজিদে ঘুমিয়েছিলাম। এক ব্যক্তি এসে আমার কাছ থেকে সেটা টেনে নিয়ে যায়। আমি তাকে হাতে নাতে ধরে নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে নিয়ে গেলে তিনি তার হাত কাটার নির্দেশ দিলেন। আমি নবিজির (সা.) কাছে গিয়ে বললাম, মাত্র ত্রিশটি দিরহামের কারণে আপনি তার হাত কাটবেন? আমি তার কাছে এটা বাকীতে বিক্রি করছি। নবিজি (সা.) বললেন, তুমি তাকে আমার কাছে নিয়ে আসার আগে তা করলে না কেন? (সুনানে আবু দাউদ: ৪৩৯৪)
ইতেকাফ বা অন্য কোনো প্রয়োজনে মসজিদে ঘুমালে মসজিদের আদব ও সম্মান রক্ষা করে ঘুমানো আবশ্যক।
Advertisement
মসজিদ মূলত নামাজ, জিকির, তালিম ইত্যাদি ইবাদতের জায়গা। মসজিদের মর্যাদা রক্ষা করা মুসলমানদের কর্তব্য ও তাকওয়ার দাবি। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,
ذٰلِکَ وَمَنۡ یُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰهِ فَاِنَّهَا مِنۡ تَقۡوَی الۡقُلُوۡبِ
এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটাতো তার অন্তরের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ। (সুরা হজ্জ: ৩২)
মসজিদকে মর্যাদায় সমুন্নত করার ও মসজিদে তার নাম স্মরণ করার নির্দেশ দিয়ে এবং মসজিদে ইবাদতকারীদের প্রশংসা করে আল্লাহ তাআলা বলেন,
Advertisement
فِیۡ بُیُوۡتٍ اَذِنَ اللّٰهُ اَنۡ تُرۡفَعَ وَ یُذۡکَرَ فِیۡهَا اسۡمُهٗ یُسَبِّحُ لَهٗ فِیۡهَا بِالۡغُدُوِّ وَ الۡاٰصَال رِجَالٌ لَّا تُلۡهِیۡهِمۡ تِجَارَۃٌ وَّ لَا بَیۡعٌ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ اِقَامِ الصَّلٰوۃِ وَ اِیۡتَآءِ الزَّکٰوۃِ ۪ۙ یَخَافُوۡنَ یَوۡمًا تَتَقَلَّبُ فِیۡهِ الۡقُلُوۡبُ وَ الۡاَبۡصَارُ
যেসব গৃহকে মর্যাদায় সমুন্নত করতে এবং তাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এমন ব্যক্তিরা যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয় বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামাজ কায়েম ও জাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখেনা, তারা ভয় করে সেই দিনকে যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। (সুরা নুর: ৩৬, ৩৭)
ওএফএফ/জেআইএম