যে চার বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পঞ্চগড়ে তারা আর কোনো বিচারিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবেন না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সাবেত আলী। এমনকি তাদের প্রত্যাহার করার জন্য প্রসেস শুরু হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
Advertisement
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাত ৮টায় জেলা প্রশাসক মো. সাবেদ আলী আদালত চত্বরে উপস্থিত হয়ে এমন আশ্বাস দিলে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর সড়ক অবরোধসহ আদালত ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে একটু সময় লাগে। বিচারক বা কর্মকর্তার বিষয়ে কোনোরূপ সিদ্ধান্ত নিতে গেলে একটা প্রক্রিয়ার বিষয় থাকে।
এর আগে পঞ্চগড়ে নিয়োগ বাণিজ্যসহ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে জেলা ও দায়রা জজসহ চার বিচারকের অপসারণ দাবিতে আদালতের মূল ফটকে তালা দিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। আন্দোলন চলাকালে আদালত চত্বরের ভেতরে বিচারক, আইনজীবী, কর্মকর্তা কর্মচারী, পুলিশসহ বিচার প্রার্থীরা আটকা পড়েন। পরে বিকেল তিনটার দিকে আদালতের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করলে সড়কের উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।
Advertisement
আন্দোলনকারীদের দাবি, কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে আদালতের জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মন্ডল, বিচারক আশরাফুজ্জামান ও আবু হেনা এই চার বিচারকের অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। তিন দিনেও কেউ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আদালত ঘেরাও ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি জুলফিকার আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি এবং মোকাদ্দেসুর রহমান সান বক্তব্য রাখেন। তারা জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপারসহ সেনা সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।
সফিকুল আলম/এফএ/জিকেএস
Advertisement