সব সড়কে চলাচলের অনুমতির দাবিতে ময়মনসিংহে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
Advertisement
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে অটোরিকশা না থাকfয় অনেক যাত্রী রিকশায় যাতায়াত করছেন। এ সুযোগে অনেক রিকশাচালক দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছেন। এছাড়া অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
মামুনুর রশীদ নামে এক চাকরিজীবী বলেন, সকালে অটোরিকশা না পেয়ে দ্বিগুণ ভাড়ায় রিকশায় চড়ে কর্মস্থলে গিয়েছি। এর সুষ্ঠু সমাধান হওয়া দরকার।
পায়ে হেঁটে পাটগুদাম ব্রিজ থেকে চরপাড়া মোড়ে যাচ্ছিলেন মধ্যবয়সী সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, অটোরিকশাচালকদের দাবি অযৌক্তিক। তাদেরকে সব সড়কে গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলে আবারও তীব্র যানজটের সৃষ্টি হবে। এদিকে অটোরিকশা বন্ধ থাকায় রিকশাচালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছি।
Advertisement
অটোরিকশাচালক আশিকুর রহমান বলেন, ধর্মঘটের আর্থিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে। গাড়ি বন্ধ রাখায় পকেট ফাঁকা। আজ বাজার করতে পারবো না। তবুও দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছি।
জেলা অটোবাইক মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. হোসাইন আহমেদ সুজন জাগো নিউজকে বলেন, সব সড়কে গাড়ি চালানোর অনুমতি চেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি কর্মবিরতির পালন করা হয়েছে। এদিন জেলা প্রশাসক ও সিটি করপোরেশন কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করা হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসন তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখেছে চালক ও মালিকরা। আমাদের দাবি আদায় না হলে, আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমনা আল মজীদ বলেন, সম্প্রতি যানজট কমানোর জন্য শহরের নির্দিষ্ট ছয়টি সড়কে অটো চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এতে চালকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা জনসাধারণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা না করে ধর্মঘট করছে। বিষয়টি আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে নগরীতে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন চালকরা। পরে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ময়মনসিংহ রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সমাবেশ করেন। সেখান থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
Advertisement
কামরুজ্জামান মিন্টু/এফএ/জেআইএম