সোশ্যাল মিডিয়া

বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে নেটজুড়ে হইচই

সমালোচনা এবং ঘেরাও কর্মসূচির মুখে বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্য ঘোষিত নামের তালিকা স্থগিত করা হয়। এর আগে ২৩ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনে মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৪’ দেওয়ার জন্য ১০ জন কবি-লেখকের নাম ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

নাম ঘোষণার পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। পুরস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন জন স্টাটাস দিতে থাকেন। এমনকি পুরস্কারের তালিকা স্থগিত করার পরও এ সমালোচনা বাড়তে থাকে।

কবি আমিনুল ইসলাম লিখেছেন, ‘হায় বাংলা একাডেমি পুরস্কার! যদি পুলিৎজার পুরস্কারের মতো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ‘বেসরকারি পুরস্কার’ থাকতো, পেলে খুশি হতাম।’

কথাশিল্পী রাহিতুল ইসলাম লিখেছেন, ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে যা যা ঘটছে, সেগুলো খুব দুঃখজনক। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষকে এর দায় নিতে হবে। পুরস্কার প্রদান প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের আরও ভাবা উচিত। নইলে লেখকরাও এভাবে অপমানিত হবে, বাংলা একাডেমির নিজেরও অপমান হবে। সবকিছু ঢেলে সাজান।’

Advertisement

আরও পড়ুন শ্রীজাতের কবিতার জবাবে নেটদুনিয়ায় প্রতিবাদ  বইমেলা নিয়ে হঠাৎ সরব কেন লেখক-প্রকাশকরা 

কবি ও সাংবাদিক হাদিউল হৃদয় লিখেছেন, ‘এ বছর থে‌কে বাংলা এ‌কা‌ডেমির পুরস্কার এ‌কেবা‌রে বন্ধ হোক! দে‌শে অ‌নেক সংগঠন আ‌ছে যাঁ‌রা সেরা নির্বা‌চিত কর‌তে পা‌রে।’

লেখক খায়রুল বাবুই লিখেছেন, ‘‘পুরস্কারের জন্য নাম ঘোষণা করিয়া তাহা বাতিল করিবার মতো বিড়ম্বনা আর হয় না।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইহা বলেন নাই।’

কথাসাহিত্যিক এহসান মাহমুদ লিখেছেন, ‘বাংলা একাডেমির পুরস্কার যাদের দেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকে যোগ্য। তবে দুয়েকজন ফ্যাসিবাদের দোসর রয়ে গেছেন। এখন পুরস্কার স্থগিত করার কারণে যোগ্যদেরও তো অপমান করা হলো। এই দায় পুরস্কারের জুরি বোর্ডকে নিতে হবে। জুরি বোর্ডে যারা আছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

এসইউ/জিকেএস

Advertisement