পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দু’জন রিংলিডারসহ মোট ৩০ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও আটজন। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দেশটির সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শনিবার লক্ষ্মী মারওয়াত জেলায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সন্ত্রাসীদের অবস্থান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে ১৮ সন্ত্রাসী নিহত এবং ছয়জন আহত হন। এছাড়া, কারক জেলার আরেক অভিযানে আট সন্ত্রাসী নিহত হন।
আরও পড়ুন>>
পাকিস্তানে চেক পোস্টে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ সৈন্য নিহত পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় ১২ সেনা নিহত পাকিস্তানে পৃথক হামলায় ৮ সেনা নিহত, ৭ পুলিশ অপহৃততৃতীয় অভিযান পরিচালিত হয় খাইবারের বাগ এলাকায়। সেখানে রিংলিডার আজিজুর রহমান আলিয়াস ক্বারি ইসমাইল এবং মুখলিসসহ চার সন্ত্রাসীকে নিষ্ক্রিয় করে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের দুই সহযোগী অভিযানে আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে থেকে বিপুল অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
তারা নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং নিরীহ সাধারণ মানুষ হত্যার মতো বহু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো, যতক্ষণ তা সম্পূর্ণরূপে নির্মূল না হয়।
সম্প্রতি খাইবার অঞ্চলে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিরাহ উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে এই গোষ্ঠীগুলোকে প্রকাশ্যে টহল দিতে দেখা গেছে এবং তারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে।
এ অবস্থায় নিরাপত্তা বাহিনী এসব এলাকায় অভিযান জোরদার করেছে এবং স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত চেক পয়েন্ট স্থাপন করেছে।
Advertisement
আইএসপিআর জানিয়েছে, খাইবার অঞ্চলে যেন কোনো সন্ত্রাসী না থেকে যায়, সে জন্য একটি স্যানিটাইজেশন অভিযান পরিচালনা করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সূত্র: ডনকেএএ/