তরমুজের উল্লেখযোগ্য রোগগুলোর মধ্যে একটি হলো ডাউনি মিলডিউ (ডিএম) ছত্রাকের মতো oomycete (Pseudoperonospora cubensis) দ্বারা সৃষ্ট। ডিএমের লক্ষণগুলো পাতায় পাওয়া যায়। যেখানে ক্ষতগুলো ক্লোরোটিক (হলুদ) অঞ্চল হিসেবে শুরু হয়। যা ক্লোরোটিক হ্যালো দ্বারা বেষ্টিত নেক্রোটিক (বাদামি বা কালো) এলাকায় পরিণত হয়।
Advertisement
কৃষক ভাইদের বলছি, এখনই আপনার তরমুজ ক্ষেতের প্রতি সতর্ক হোন। নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন এবং পর্যবেক্ষণ করুন। তরমুজ ফসলের পাতায় কোনো রকম দাগ পরিলক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিসে যোগাযোগ করুন।
লক্ষণ• বয়স্ক পাতায় এ রোগ প্রথম দেখা যায়।• আক্রান্ত পাতার গায়ে সাদা বা হলদে থেকে বাদামি রঙের তালির মতো দাগ দেখা যায়।• ধীরে ধীরে অন্যান্য পাতায় ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনকৃষিতে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা ও প্রভাববেশি ফলন পেতে শসা গাছ ছাঁটাইয়ের নিয়মসমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা• সম্ভব হলে গাছের আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।• ক্ষেত পরিষ্কার রাখুন এবং পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা রাখুন।• আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।• এলোপাতাড়ি বালাইনাশক ব্যবহার করে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করবেন না।• প্রথমবার লক্ষণ দেখা যেতেই ব্যবস্থা নিন।• সুষম সার ব্যবহার করুন।• রোগ প্রতিরোধী জাত, যেমন- বারি উদ্ভাবিত বা অন্যান্য উন্নত জাতের চাষ করুন।• বিকল্প পোষক দমন করুন। • আগাছা পরিষ্কার রাখুন।
Advertisement
রাসায়নিক দমন ব্যবস্থাপনা১. এগবেন (কাবেন্ডাজিম) প্রতি লিটারে ১ মিলিলিটার এবং আরলিন প্রতি লিটারে ১ গ্রাম ১০ দিন পরপর স্প্রে করলে অথবা ২. মনা (এজোক্সিস্ট্রবিন + সিপ্রোকোনাজল গ্রুপের) নিয়মমতো ছত্রাকনাশক ১০ দিন পরপর স্প্রে করলে দাগ চলে যাবে।৩. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।
এসইউ/জেআইএম