সাহিত্যে নোবেলজয়ী সংগীততারকা বব ডিলান এখন টিকটকার। তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় এই সামাজিক মাধ্যমে সম্প্রতি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তিনি। আজ দুপুরে দেখা যায় তার অ্যাকাউন্টে অনুসারী বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪১ দশমিক ৯ হাজার। গত মঙ্গলবার টিকটকে প্রথম ভিডিওটি পোস্ট করেন ৮৩ বছর বয়সী এই শিল্পী।
Advertisement
বব ডিলানকে টিকটকে স্বাগত জানিয়েছেন তার অনুসারীরা। পোস্ট করা ৫০ সেকেন্ডের প্রথম ভিডিওতে ‘লাইক আ রোলিং স্টোন’, ‘নকিং অন দ্য হ্যাভেনস ডোর’, ‘হারিকেন’-এর মতো গানগুলো ব্যবহার করেছেন বব ডিলান। ভিডিওতে পুরোনো ছবি ও অ্যালবামের কভারও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। টিকটকে যুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে তার অনুসারী সংখ্যা। বব ডিলান এমন সময়ে টিকটকে আত্মপ্রকাশ করলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের বিদায়ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে। ১৯ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে ভিডিও শেয়ারিংয়ের এ অ্যাপ। এর মাত্র পাঁচ দিন আগে সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন বব ডিলান।
৫৩তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বব ডিলান (ফাইল ছবি) এএফপি
টিকটক বন্ধ হলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ব্যবহার করবেন আরেক চীনা অ্যাপ রেডনোট। এরই মধ্যে দেশটির অনেকে অ্যাপটি ব্যবহার শুরু করেছেন। অনুসারীদের কেউ কেউ ডিলানকেও রেডনোটে অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে শেষ মুহূর্তে তিনি এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেওয়ায় বিস্মিত অনুসারী ও গণমাধ্যম। তার মতো কিংবদন্তির এই উদ্যোগ প্রমাণ করে যে, বিখ্যাতরাও প্রযুক্তিগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সঙ্গে জড়াতে আগ্রহী। ডিজিটাল মিডিয়ায় তার এই উপস্থিতি তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অন্য রকম এক মাত্রা যুক্ত করলো। মনে করিয়ে দেওয়া যেতে পারে, ষাটের দশকে প্রায় গোপনে রাজনৈতিক ইস্যুতে গান করেছেন এই শিল্পী। অনেকে মনে করেন, প্ল্যাটফর্মটিকে নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদেও তিনি এতে যুক্ত হয়ে থাকতে পারেন।
Advertisement
১৯৪১ সালে জন্ম নেওয়া বব ডিলান জীবন্ত কিংবদন্তি। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশেষ অবদান ছিল তার। সেসময় ভারতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আয়োজিত ঐতিহাসিক কনসার্ট ফর বাংলাদেশ-এ গান করেছিলেন তিনি। সেদিন বব ডিলানের সঙ্গে গিটার বাজিয়েছিলেন আরেক কিংবদন্তি শিল্পী জর্জ হ্যারিসন। ডিলানের সেরা অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে ‘ব্লাড অন দ্য ট্রাকস’। ২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। এর আগে ২০১২ সালে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমে ভূষিত হন তিনি।
আরএমডি