সাহিত্য

তরুণ কলাম লেখক ফোরামের তথ্যচিত্র প্রদর্শনী

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের উদ্যোগে ‘সংবাদমাধ্যমের পাতায় পাতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক ২ দিনব্যাপী তথ্যচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির মাঠে দুপুর ১২টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

Advertisement

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী, সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের মাসুদুর রহমান, লেখক ফোরামের উপদেষ্টা ফয়সাল আহাম্মদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন শাখার সদস্যরা। সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীটি ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত পত্রিকার সংবাদ, ছবি ইত্যাদির কাটিং এতে প্রদর্শিত হচ্ছে। ঢাকাসহ প্রতিটি জেলায় সংগঠিত জুলাই বিপ্লবের স্থিরচিত্রও স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। এতে একাধিক মূলধারার সংবাদপত্রে প্রকাশিত জুলাই বিপ্লবের উল্লেখযোগ্য খবর স্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের প্রচার সম্পাদক ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আবিদ হাসান রাফি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যমগুলোর গুরুত্ব নিয়ে পাবলিক পরিসরে আলাপ হচ্ছে না। যখন ইন্টারনেট শাটডাউন ছিল; তখন পত্রিকা থেকেই আমরা আন্দোলনের সার্বিক বিষয়ে জানতে পারতাম। পত্রিকাগুলো এই গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পত্রিকাগুলোর অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই আমাদের আয়োজন।’

Advertisement

আরও পড়ুন মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ৩ লেখক  পাণ্ডুলিপি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ 

ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দিন বলেন, ‘জুলাইকে ডকুমেন্টেশনের আওতায় আনার জন্য আমাদের এ উদ্যোগ। মানুষ যেন এগুলো থেকে জুলাইয়ের স্মৃতিকে চাঙা করতে পারে, তারই চেষ্টা করা হয়েছে। সংবাদের পাশাপাশি আমরা হৃদয়কাড়া ছবিও প্রদর্শন করছি।’

কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংবাদমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে জাতীয় পত্রিকাগুলো পরিস্থিতি জানার অন্যতম মাধ্যম ছিল। সে সময়ের পত্রিকায় জুলাইয়ের অনেক স্মৃতি সংগৃহীত আছে। এ ছাড়া গণঅভ্যুত্থানে কোন সংবাদমাধ্যম কী প্রচার করছে, কীভাবে করছে; তার পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ উঠে আসবে। জুলাইয়ের স্মৃতিকে অম্লান রাখতেই বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম এমন আয়োজন করেছে।’

ঢাবির প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অনেকে অভ্যুত্থান বলে, আমি বলি বিপ্লব। এখানে শুধু ক্ষমতা নয়, একটি ধারার পরিবর্তন হয়েছে। এটাকে আমি নতুন বাংলার রেনেসাঁ বলি। আমাদের প্রজন্ম এর সঙ্গে যত খাপ খাওয়াতে পারবে; ততই বিপ্লব সুসংহত হবে। আমাদের প্রজন্ম ও তরুণ প্রজন্মে একটা গ্যাপ আছে। আমরা তরুণদের ভাবনাকে বুঝতে পারছি না। এ ধরনের আয়োজন যত বেশি হবে; তত আমাদের জন্য তরুণদের বোঝা সহজ হবে। এ আয়োজন ডকুমেন্টশনের কাজ করে। একটি ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখে। এ ধরনের আয়োজন ব্যতীত বিপ্লব বেহাত হয়ে যাবে।’

এসইউ/জিকেএস

Advertisement