জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ৮৩৪ জন শহীদের তালিকার গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে শহীদদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। বুধবারই তা গেজেটে প্রকাশ হয়েছে।
Advertisement
তালিকায় শহীদদের নাম ছাড়াও গেজেট নম্বর, মেডিকেল কেস আইডি, পিতার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের এটিই প্রথম চূড়ান্ত তালিকা।
জুলাই শহীদদের তালিকা করার প্রক্রিয়ার বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, এ তালিকাটি মূলত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করেছে। হাসপাতালসহ বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য নিয়েছে। তারা গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের নাম তালিকাভুক্ত করতে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তালিকাটি চূড়ান্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের দিয়েছে। আমরা গেজেট জারির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি।
তালিকায় নাম থাকা শহীদদের পরিবারকে সরকার কোনো ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দেবে কি না, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, এটি সরকারের নীতি-নির্ধারণী বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠিত হচ্ছে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রুলস অব বিজনেসেও পরিবর্তন আসছে। শহীদ পরিবারকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে সেটা হয়তো এ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
Advertisement
আরও পড়ুন: এনটিএমসি-বিটিআরসিকে গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ
পরবর্তী সময়ে নাম পাওয়া সাপেক্ষে আরও তালিকা প্রকাশ হতে পারে। তবে তার সংখ্যা খুব বেশি হবে না বলেও জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
গত বছরের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে শুরু হয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের দমন-পীড়ন। আন্দোলন থামাতে একসময় চরম নৃশংসতা চালায় শেখ হাসিনা সরকার। একসময় কোটাবিরোধী আন্দোলন রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। শেষে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তবে এর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন শত শত আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা।
শহীদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
Advertisement
আরএমএম/এমএইচআর