ইউরোপের দেশ গ্রিসে কর্মী সংকট মেটাতে ৮৯ হাজার ২৯০ জন বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। তৃতীয় দেশ থেকে চলতি বছর উল্লিখিত সংখ্যক অভিবাসী কর্মী আনার অনুমতি দিয়ে একটি গেজেট পাস করেছে গ্রিক মন্ত্রিসভা। এছাড়া পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরে চার হাজার বাংলাদেশি কর্মীকেও ভিসা দেবে গ্রিস।
Advertisement
অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গ্রিসের পর্যটন ও নির্মাণ খাতসহ শ্রমবাজারের ঘাটতি মেটাতে মোট তিন লাখ বিদেশি শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। গ্রিসে বর্তমানে ডিশওয়াশার, ওয়েটার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শেফ, স্পা থেরাপিস্ট, নির্মাণ খাতে বিশেষ কারিগর, যেমন ওয়েল্ডার, কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, স্টিমফিটার, গাড়িচালক, সাইট ইঞ্জিনিয়ার এবং বিশেষায়িত ভারী যন্ত্রপাতি চালাতে পারে এমন অপারেটরসহ প্রচুর কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে।
তবে কর্মী সংকটে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়ে কৃষি খাতের মালিকরা। কৃষি খাতের শ্রমিকদের অভাব দীর্ঘদিন ধরেই মোকাবিলা করছে কৃষি মালিকেরা।
এবারের গেজেট অনুযায়ী মোট ৮৯ হাজার ২৯০ জনের মধ্যে অদক্ষ কৃষি শ্রমিক, নির্মাতা, মেশিন অপারেটর, কারখানার শ্রমিক, অফিস কর্মচারীর মতো পদেই বেশিরভাগ কর্মী নেওয়া হবে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার ৬৭০ জনকে মৌসুমি কাজ বা সিজনাল ভিসা দেওয়া হবে।
Advertisement
এর আগে প্রাথমিকভাবে ২০২৩-২৪ সময়কালের জন্য এক লাখ ৪৭ হাজার ৯২৫ জন অভিবাসী আনার কোটা নির্ধারণ করেছিল গ্রিক সরকার। মূলত কৃষি, নির্মাণ, পর্যটন এবং খাদ্য খাতে নিয়োগকর্তাদের চাহিদা পূরণের জন্য তৃতীয় দেশ থেকে অতিরিক্ত কর্মী আনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
২০২৫ সালের জন্য প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে, সিজনাল ভিসায় ৪৫ হাজার ৬৭০ জন, উচ্চ দক্ষ কর্মসংস্থানের জন্য দুই হাজার, নির্ভরশীল কর্মসংস্থান বা স্পন্সর ভিসার জন্য ৪১ হাজার ৬৭০ জন কর্মী আনতে পারবে নিয়োগকর্তারা।
গেজেটে বলা হয়েছে, মোট সংখ্যার মধ্যে প্রায় নয় হাজার কর্মী গ্রিসের সাথে হওয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও মিশর থেকে আসবে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী কৃষি, বন, মৎস্য এবং পর্যটন খাতে চার হাজার কর্মীর শূন্যপদ বাংলাদেশ থেকে আগত কর্মীদের মাধ্যমে পূরণ করার পরিকল্পনা করেছে গ্রিস।
Advertisement
এছাড়া ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া গ্রিস-মিশরের অভিবাসন চুক্তির আওতায় কৃষি খাতে মৌসুমি কর্মসংস্থান সম্পর্কিত অবশিষ্ট পাঁচ হাজার শূন্যপদ মিশর থেকে আসা কর্মীদের দিয়ে পূরণ করবে।
এদিকে বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস না থাকায় ভিসা পেতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন গ্রিসের ভিসাপ্রত্যাশি বাংলাদেশিরা, ফলে দু’দেশের চুক্তির দুই বছর অতিবাহিত হলেও ভিসার লক্ষণীয় অগ্রগতি নেই।
এমআরএম/এএসএম