ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অর্গানোগ্রাম বহির্ভূত ও নীতিমালা অনুসরণ না করে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান ও আলোচিত সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ বোর্ডের ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে ঢাকা ওয়াসার পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা পরস্পর যোগসাজশ করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অর্গানোগ্রাম বহির্ভূত ও ঢাকা ওয়াসায় বৈধ কোনো পদ সৃষ্টি না করে এবং নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা ও প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ না করে নিজেদের পছন্দের দুজন ব্যক্তিকে নিয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন তাকসিম এ খানের দেশত্যাগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পদত্যাগ করলেন ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানমামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-২) সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, এফসিএ ভাইস প্রেসিডেন্ট মু. মাহমুদ হোসেন, সাবেক পরিচালক আবুল কাশেম, এ কে এম সহিদ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রতিনিধি প্রকৌশলী মো. নূরুজ্জামান, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএমএ হামিদ। এছাড়া সাবেক কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজী ও মো. হাসিবুর রহমান মানিককে আসামি করা হয়েছে।
Advertisement
এজাহারে বলা হয়, আবুল কাশেম ও একেএম সহিদ উদ্দিনকে যথাক্রমে পরিচালক উন্নয়ন ও পরিচালক কারিগরি পদে নিয়োগ প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন আসামিরা।
আসামিরা লাভবান হওয়ার জন্য পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণামূলকভাবে অনিয়ম, দুর্নীতি, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসার নিয়োগ করা পরিচালক (উন্নয়ন) ও পরিচালক (কারিগরি) জ্ঞাতসারে নিয়োগ সংক্রান্ত আইন ও প্রচলিত বিধিবিধান অনুসরণ না করে উক্ত পদে নিয়োগ প্রদানের সর্বসম্মতভাবে মতামত প্রদান করেছেন। বেতন-ভাতা বাবদ উত্তোলিত ১ কোটি ৯৮ লাখ ৬৫ হাজার ৯৮০ টাকা আত্মসাতের সহযোগিতা করেছেন।
আসামি আবুল কাশেম অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তি স্বার্থে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পরস্পর যোগসাজশে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে পরিচালক উন্নয়ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বেতন-ভাতাদি বাবদ ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ২৭১ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে এ কে এম সহিদ উদ্দিন, বেতন-ভাতাদি বাবদ ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ২৭১ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।
এসএম/এমএএইচ/এমএস
Advertisement