ধর্ম

নবি-রাসুলের নামে শপথ করা যাবে কি?

ইসলামে শপথ শুধু আল্লাহর নামেই করতে হয়। আল্লাহ ছাড়া কারো নামে শপথ করা হারাম ও ছোট শিরক যা বড় গুনাহসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর ছাড়া যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তু যেমন ফেরেশতা, নবিজি (সা.), কাবা, আমানত, নামাজ, বাবা-মা বা কোনো দরবেশের নামে শপথ করা হারাম।

Advertisement

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত একবার আল্লাহর রাসুল (সা.) ওমর ইবনুল খাত্তাবকে (রা.) বাহনে আরোহণ করা অবস্থায় তার পিতার নামে কসম করতে দেখলেন। তখন তিনি তাকে ডেকে বললেন, সাবধান! আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। কেউ কসম করতে চাইলে সে যেন আল্লাহর নামে কসম করে, নইলে যেন চুপ থাকে। (সহিহ বুখারি: ৬১০৮)

সাঈদ ইবনে আবু উবায়দা (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) এক ব্যক্তিকে এভাবে শপথ করতে শুনলেন ‘না, এ কাবার শপথ!’ তখন ইবনে ওমর (রা.) বললেন, আমি আল্লাহর রাসুলকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর নামে শপথ করলো, সে শিরক করল। (সুনানে আবু দাউদ: ৩২৫১) উল্লেখ্য, কেউ যদি আল্লাহর নামে কোনো শপথ করে পরে তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়, শপথটি ভেঙে ফেলে, তাহলে সেজন্য কাফফারা দিতে হয়। কসমের কাফফারা হলো দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খাবার খাওয়ানো অথবা দশজন দরিদ্র ব্যক্তিকে এক জোড়া করে কাপড় দেওয়া। এভাবে কাফফারা আদায় করার সামর্থ্য না থাকলে লাগাতার তিন দিন রোজা রাখতে হবে। আল্লাহ বলেন,

لَا یُؤَاخِذُکُمُ اللّٰهُ بِاللَّغۡوِ فِیۡۤ اَیۡمَانِکُمۡ وَ لٰکِنۡ یُّؤَاخِذُکُمۡ بِمَا عَقَّدۡتُّمُ الۡاَیۡمَانَ فَکَفَّارَتُهٗۤ اِطۡعَامُ عَشَرَۃِ مَسٰکِیۡنَ مِنۡ اَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُوۡنَ اَهۡلِیۡکُمۡ اَوۡ کِسۡوَتُهُمۡ اَوۡ تَحۡرِیۡرُ رَقَبَۃٍ فَمَنۡ لَّمۡ یَجِدۡ فَصِیَامُ ثَلٰثَۃِ اَیَّامٍ

Advertisement

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না অর্থহীন কসমের ব্যাপারে, কিন্তু যে কসম তোমরা দৃঢ়ভাবে কর সে কসমের জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করেন। সুতরাং এর কাফফারা হল দশ জন মিসকীনকে খাবার দান করা, মধ্যম ধরনের খাবার, যা তোমরা নিজেদের পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদের বস্ত্র দান করা, কিংবা একজন দাস-দাসী মুক্ত করা। যে সামর্থ্য রাখে না, তার জন্য তিন দিন রোজা রাখা। (সুরা মায়েদা: ৮৯)

ওএফএফ/এমএস