থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মদের আড্ডায় বসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা ইউনিভার্সিটি এবং প্রাইম নার্সিং কলেজের ৯ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ক্যাম্পাসের ‘সুন্দরবন’ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের। আটক শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অফিসের নিরাপত্তা শাখায় জিজ্ঞাসাবাদে মাদক সেবনের বিষয়টি স্বীকার করেন।
আটকদের মধ্যে জাবির ৪ জন, ঢাবির ৩ জন, উত্তরা ইউনিভার্সিটির ও প্রাইম নার্সিং কলেজের ১ জন করে শিক্ষার্থী রয়েছেন।
আটক জাবি শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. শিপন হোসেন, সতীর্থ বিশ্বাস বাঁধন এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হ্রই মুইং স্যাং মারমা ও কৃষাণ চন্দ্র বর্মণ।
Advertisement
আটক ঢাবি শিক্ষার্থীরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের থোয়াইনু প্রু, ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং বিভাগের প্রিয়ন্তি নাগ এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের খেংচেং ফু মারমা।
এছাড়া উত্তরা ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আফরিন আশা এবং প্রাইম নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী মাসুই মারমা আটক আছেন।
জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ক্যাম্পাসে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা শাখা টহল জোরদার করে। এদিন রাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মাদক সেবনের সময় শিক্ষার্থীদের আটক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম জানান, ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইটে ক্যাম্পাসের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সব শিক্ষার্থীকে রাত ১০টার মধ্যেই স্ব স্ব হলে ফেরার নোটিশ দিয়েছিলাম। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ আগামী ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছি। নোটিশে উল্লেখ করা এসব বিষয় তদারকি করতেই রাতে অভিযান চালাই। সুন্দরবন এরিয়ায় গেলে সেখানে শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপকে মাদক সেবনরত অবস্থায় হাতেনাতে ধরি।
Advertisement
আটকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, বহিরাগতদের থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ছাত্র শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৈকত ইসলাম/এফএ/জেআইএম