বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মো. আব্দুল্লাহর পরিবার-পরিজনদের দেখা করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
Advertisement
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল বড় আঁচড়া গ্রামে জামায়াত আমির।
এসময় তিনি শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান এবং তার মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন এবং পরিবারের খোঁজখবর নেন। পরে নানা-নানির কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত এবং তার রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এর আগে যশোর টাউন হল ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর এক দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন ডা. শফিকুর রহমান। এসময় তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
Advertisement
এসময় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আব্দুল্লাহ এলাকার গৌরব। তার কারণে আজ আমাদের এখানে আসা। আব্দুল্লাহ শহীদ না হলে আদৌও এখানে আসার সৌভাগ্য হতো কিনা জানি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ আব্দুল্লাহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিল। তিনি বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার জন্য নিজের সম্ভাবনাময় জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। তার আত্মত্যাগের জন্য জাতি আজ গর্বিত। আমি আশা করি, সারাদেশ তাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে এবং তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেবে। মহান রবের নিকট দোয়া করি তিনি যেন তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন।’
এসময় ডা. শফিকুর রহমান শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং তার পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য আজিজুর রহমান, যশোর জেলা শাখার আমির গোলাম রসুল, শার্শা থানা আমির রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
Advertisement
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহত হন রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ (২৪)। এরপর তিন মাসেরও বেশি সময় তিনি চিকিৎসাধীন ছিল। গত ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয়।
জামাল হোসেন/এসআর/এএসএম