বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় গত এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আট মাসে পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) অতর্কিত হামলায় সাতজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এসময়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিশেষ যৌথ অভিযানে কেএনএ’র ১৭৯ জন সক্রিয় সদস্য ও সহায়তাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে বনানীর সেনা অফিসার্স মেসে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
তিনি বলেন, কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান অভিযানে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির হাত থেকে স্থানীয় নিরীহ জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ যৌথ অভিযান গত এপ্রিল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন ৪ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ১২৩ সদস্য হতাহত কুকি-চিনের রক্তথাবায় বিপন্ন সবুজ পাহাড়কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে মানবাধিকার রক্ষা করে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৭৯ জন কেএনএ সক্রিয় সদস্য/সহায়তাকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, অভিযানে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রসহ মোট ছয়টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জামাদি (দূরবীন, ম্যাপ, আইডি সরঞ্জাম, ওয়াকিটকি, ইউনিফর্ম, ল্যাপটপ ইত্যাদি) উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী সংগঠনটির পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণ এবং অতর্কিত হামলায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাতজন বীর সেনানী শহীদ হয়েছেন।
টিটি/এমকেআর/জিকেএস