আন্তর্জাতিক

কঠোর ধূমপানবিরোধী আইন পাসের পথে যুক্তরাজ্য

বিশ্বের অন্যতম কঠোর ধূমপানবিরোধী আইন প্রণয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আইনপ্রণেতারা। ধূমপান ও ই-সিগারেট ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে এবং শিশু-কিশোরদের মধ্যে এর প্রতি আকর্ষণ কমানোর লক্ষ্যে প্রস্তাবিত বিলটি গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়।

Advertisement

‘টোব্যাকো অ্যান্ড ভ্যাপস বিল’ নামে এই প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে যারা ১৫ বছর বা তার কম বয়সী, তারা কখনোই সিগারেট কিনতে পারবে না।

এই বিলের পক্ষে হাউস অব কমনসে মোট ৪১৫ জন আইনপ্রণেতা ভোট দিয়েছেন, বিপক্ষে ছিলেন মাত্র ৪৭ জন। বিল অনুযায়ী, ই-সিগারেটের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা, ভেন্ডিং মেশিন থেকে এর বিক্রি বন্ধ করা এবং শিশু ও কিশোরদের আকৃষ্ট করে এমন বাবল গাম বা কটন ক্যান্ডি ফ্লেভারের মতো ই-সিগারেটের প্যাকেজিং সীমিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

আরও পড়ুন>>

Advertisement

ধূমপানে বুদ্ধি কমে, বলছে গবেষণা ধূমপানে হার্টের যে ক্ষতি হয় ধূমপানের পর নামাজ আদায় করলে কি তা কবুল হবে?

লেবার পার্টির নেতা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং বলেছেন, শিশুদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এ বিষয়ে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আমরা একটি প্রজন্ম পেতে যাচ্ছি, যারা দীর্ঘমেয়াদী আসক্তিতে ভুগবে।

তবে বিলটির বিরোধিতা করে কিছু আইনপ্রণেতা এটিকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতা রবার্ট জেনরিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, আমি এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছি। শিক্ষা বেশি দেন, নিষেধাজ্ঞা দেন কম। ন্যানি স্টেটকে (অভিভাবকসুলভ সরকার) না বলুন।

বিলটি এখন কমিটি পর্যায়ে আলোচনার জন্য পাঠানো হবে। এরপর যাবে হাউস অব লর্ডসে এবং পরে ‘রয়্যাল অ্যাসেন্ট’ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আইন হিসেবে কার্যকর হবে।

প্রস্তাবিত নতুন আইনটি ধূমপান নিষিদ্ধ এলাকাগুলোর মধ্যে শিশুদের খেলার মাঠ এবং স্কুল ও হাসপাতালের বাইরের স্থানগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনাও করছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্রায় সব আবদ্ধ জনপরিসরে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছিল যুক্তরাজ্য।

সূত্র: রয়টার্সকেএএ/