তিনি নিজেও কম যাননি। আইরিশ নারী দলকে ৯৮ রানে বেঁধে ফেলতে তার অবদানও কম নয়। একমাত্র পেসার মারুফা আকতারের সাথে অন্য প্রান্তে বোলিংয়ের সূচনা করা অফস্পিনার সুলতানা খাতুন ২৩ রানে ৩ উইকেটের পতন ঘটিয়ে বাংলাদেশ নারী দলের বড় জয়ে রেখেছেন কার্যকর ভূমিকা।
Advertisement
৫ ওভারের প্রথম স্পেলে (১৫ রান) উইকেট পাননি; কিন্তু শেষ স্পেলে ২.৫ ওভারে ৩ উইকেট তুলে নেন অফস্পিনার সুলতানা খাতুন। ম্যাচে বাঁ-হাতি স্পিনার নাহিদা আকতারও তার মতই ২৩ রানে ৩ উইকেট দখল করে আইরিশদের ১০০’র নিচে বেঁধে ফেলতে রাখেন বড় ভূমিকা।
কিন্তু খেলা শেষে সুলতানার কথা শুনে মনে হলো, তিনি আজকের বড় জয়ের প্রায় পুরো কৃতিত্ব দিতে চান ব্যাটার শারমিন সুলতানা শুপ্তাকে। খেলা শেষে মিডিয়ার সাথে কথা বলতে এসে সুলতানা বলেই দিলেন, ‘উনি (শুপ্তা) যে ব্যাটিংটা করছেন, অবশ্যই সেটা ভালো ব্যাটিং।’
শুপ্তাকে আজকের মত এত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে আরেকবার দেখেছেন সুলতানা। তার মূল্যায়ন, ‘দ্বিতীয়বার দেখলাম শুপ্তা আপা এত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে। সে চাইলে ভালো ব্যাটিং করতে পারে। আরও বেশি ভালো হতো, যদি কিনা সেঞ্চুরিটা হাঁকাতে পারতো।’
Advertisement
সুলতানার ধারনা, শুপ্তা আজকের চেয়ে আরও ভালো ব্যাটিং করতে পারেন। ‘আমি আশাবাদী তিনি আগামী ম্যাচে আরও ভালো করবেন।’
শুপ্তা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও বাকিরা কি তবে দূর্বল? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে সুলতানা বলেন, ‘না, না। আসলে ওয়ানডে তো আপনার বল দেখে দেখে খেলতে হবে। শুপ্তা যখন নামছেন, পরিস্থিতি ছিল একরকম; আর যখন একটা ওপেনার ব্যাটিং করে, নতুন বলে পরিস্থিতি ছিল একরকম। উনি যেটা সহজে খেলতে পেরেছে, হয়তো ওপেনাররা শাফলিং করে খেলতে পারেনি। উনি যে স্টার্ট দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ।’
তিনি আর নাহিদা সফল হয়েছেন বলেই ভাবার কোন কারন নেই যে উইকেট স্লো ও স্পিন সহায় ছিল। সুলতানার অনুভব, এটা ছিল ২৭০ রানের উইকেট।’
আজকের উইকেট দেখে আমার তেমন মনে হয়নি, ‘এটা স্লো অ্যান্ড লো উইকেট। ওরা যখন বল করছে, কিছু বল বুকের ওপর থেকে গেছে। যদি লো উইকেট থাকতো সেটা থাকতো হাঁটুর নিচে। দুয়েকটা বল নিচু হয়; কিন্তু উইকেট ভালো ছিল।’
Advertisement
সুলতানার আশা, যদি উইকেট এমন থাকে তাহলে পরের ম্যাচে ৩০০ রানের লক্ষ্যে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ‘আসলে আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ৩০০ রান করার। সাডেনলি হয়নি; কিন্তু ইনশাআল্লাহ পরের ম্যাচে আমরা চেষ্টা করবো প্লাস করার জন্য।’
আরআই/আইএইচএস/