সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে স্নাতক পাসের ভুয়া সনদে তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জিকেএস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান।
Advertisement
২৩ অক্টোবর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক পত্রে ওই বিএনপি নেতাকে সভাপতি পদে নিয়োগ দেন।
এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ পরিচালনা কমিটির ম্যানুয়াল অনুযায়ী, ডিগ্রি কলেজের সভাপতি হতে অবশ্যই স্নাতক পাস হতে হবে। তবে খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর নামে ওই ব্যক্তি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সনদ দিয়েছেন, তা নকল। ওই সনদপত্র অনুযায়ী তিনি ১৯৯৪ সালে পাস করেছেন। তার রোল নম্বর ১৭১১৪৫, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৯৫১৮৫২। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল টেবুলেশনে এই রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর কৃতকার্য হিসেবে লেখা নেই।
সনদ জালিয়াতির এমন গোপন তথ্য প্রমাণসহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবর পাঠিয়েছেন স্থানীয় শিশির আহম্মদ নামের এক প্রভাষক। গত ২৪ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অভিযোগটি গ্রহণ করেছে।
Advertisement
তবে জাল সনদের বিষয়টি অস্বীকার করে খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর জাগো নিউজকে বলেন, আমি রাজনীতি করি, এ কারণে আমার প্রতিপক্ষ রয়েছে। তারা ষড়যন্ত্র করছে আমাকে হেয় করার জন্য। তিনি ২০১০ সালে ঢাকার ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন বলে দাবি করেন।
এম এ মালেক/এফএ/এএসএম