কলকাতার ভক্তদের দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তা করতে গেলে ভালোই হলো। যে দলগুলো কিনতে চেয়েছিলেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান, যদি সেগুলোর কোনোটা তিনি পেতেন তবে কলকাতার সঙ্গে তার নামটা এভাবে আবেগ নিয়ে জুড়ে যেতো না। শাহরুখও বাঙালির এতোটা কাছের মানুষ, ঘরের মানুষ হয়ে উঠতেন না।
Advertisement
২০২৫ আইপিএল মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। তার আগে ললিত মোদী শারুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্সে মালিকানা অর্জনের গল্প শেয়ার করলেন। মোদী জানান, কলকাতা শাহরুখ খানের প্রথম পছন্দ ছিল না। অভিনেতা দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু এবং আহমেদাবাদ শহরে ফ্র্যাঞ্চাইজি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত কলকাতায় এসে ক্রিকেট দলের মালিক হিসেবে নোঙর করেছেন।
একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে রাজ শামানির সঙ্গে কথা বলার সময় ললিত মোদী জানান, আইপিএলের প্রথম নিলামে যে কেউ যেকোনো দলের জন্য বিড করতে পারতেন। তিনি আরও বলেন, শারুখ খান বিশেষভাবে আহমেদাবাদ বা মুম্বাই দলের জন্য বিড করতে চেয়েছিলেন। তবে তার বিড কম ছিল। ফলে তিনি কলকাতা নাইট রাইডার্সের মালিক হন।
মোদী আরও জানিয়েছেন, মুম্বাই ছিল শাহরুখ খানের প্রথম পছন্দ। কিন্তু মুকেশ আম্বানি সেটি দখল করে নেন। বেঙ্গালুরু ছিল শারুখের দ্বিতীয় পছন্দ। বিজয় মাল্য সেটি কিনে নিলে কিং খান সেটিও পাননি। এরপর তার তৃতীয় পছন্দ ছিল দিল্লি। সেটিও হাতছাড়া হয়। মূলত নিজের বাসস্থান ও কর্মস্থলের সুবিধা অনুযায়ী তিনি দল কিনতে চেয়েছিলেন।
Advertisement
তবে কলকাতার মালিক হয়ে খুশি শাহরুখ খান। তিনি মনে করেন এই দলটি তার জন্য সাফল্যের প্রতীক। কলকাতা শাহরুখ খানকে আইপিএল থেকে অনেককিছু দিয়েছে। তিনি পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি বাঙালির ভালোবাসা। পেয়েছেন ট্রফি ও একঝাঁক ক্রিকেট তারকার শ্রদ্ধা। মোদী উল্লেখ করেছেন, শারুখের বিড ছিল প্রায় ৭০-৮০ মিলিয়ন। অন্য শহরের বিড ছিল ১০০ মিলিয়নের কাছাকাছি। সেজন্য শাহরুখ ওই দলগুলো কিনতে পারেননি। কলকাতার বিড ছিল ৮৫-৮৭ মিলিয়ন। সেখানে সফল হন তিনি।
একই সাক্ষাৎকারে, মোদী শারুখ খানের আইপিএলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, তার অংশগ্রহণই দর্শক সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল শুরুর দিকে। বিশেষ করে নারী, তরুণ এবং শিশু দর্শক টানার জন্য শাহরুখ ম্যাজিকের মতো কাজ করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমার জন্য শারুখ খানের উপস্থিতি সবসময়ই উপভোগ্য। আইপিএলকে তিনি জনপ্রিয় করতে খুবই ভূমিকা রেখেছেন। ভারতের নারীরা তাকে ঘরের ছেলের মতো ভাবে, স্বামী ও প্রেমিকের মতো ভাবে। বাচ্চা তাকে আদর্শ বাবা মনে করে। তাই তার অংশগ্রহণ টুর্নামেন্টটিকে কালারফুল করেছে।’
এলএ/জিকেএস
Advertisement