আন্তর্জাতিক

ফের লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে পাঁচটি প্রজেক্টাইল ছোড়া হয়েছে। ইসরায়েলের ড্যান, শ্যারোন এবং মেনাশে অঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছে। তবে এসব প্রজেক্টাইল প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

Advertisement

এছাড়া আরও একটি প্রজেক্টাইল একটি খোলা জায়গা পড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এদিকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল এবং আপার গ্যালিলি অঞ্চলেও সাইরেন বেজে উঠেছে। সেখানে কয়েক দফা ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে।

তবে এসব হামলায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রোববার সকালে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, লেবানন থেকে ড্রোন হামলা এখন শেষ হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু ড্রোন লেবানন থেকে ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে দুটি ড্রোন ভূপাতিত করা সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, গত দুই দিনে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১২০ জন নিহত হয়েছে। অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলা আরও তীব্র হয়েছে। গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি।

শনিবার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা শহরের জেইতুন শহরতলিতে একটি আবাসিক বাড়িতে রাতভর হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য ও দক্ষিণ গাজায়ও বহু মানুষ নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি বিমান হামলায় মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-ফারুক মসজিদের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডি যাচাই করে দেখেছে আল জাজিরা।

ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান আরও জোরদার করেছে এবং উত্তর গাজায় আরও ব্যাপক হারে বোমাবর্ষণ হচ্ছে। সেখানে আংশিকভাবে পরিচালিত হাসপাতালগুলোর মধ্যে সর্বশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করছে এমন একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত গাজায় ১৭ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গত মাসে উত্তর গাজায় একটি অবরোধ আরোপ করেছে এবং একটি নতুন স্থল অভিযান শুরু করেছে। তাদের দাবি হামাস যোদ্ধাদের আক্রমণ প্রতিহত করা এবং ওই অঞ্চলে পুনরায় সংগঠিত হওয়া থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যেই এসব অভিযান শুরু হয়েছে।

টিটিএন