জাতীয়

আদি বুড়িগঙ্গা নদী ও কালুনগর খাল উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন

আদি বুড়িগঙ্গা নদী ও কালুনগর খাল উদ্ধার ও খনন করে বৃত্তাকার নৌপথ চালু করার দাবিতে রাজধানীর লালবাগ থানার সংলগ্ন বেড়িবাঁধ এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

Advertisement

মানববন্ধনের আয়োজন করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন ও নবাব বাগিচা সামাজিক উন্নয়ন কল্যাণ পরিষদ।

বাপার যুগ্ম সম্পাদক ও বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাপার নির্বাহী সদস্য ড. হালিম দাদ খান, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, পবার সদস্য মো. সেলিম, নবাব বাগিচা সামাজিক উন্নয়ন কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম আজম, সভাপতি নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম, বাপা জাতীয় পরিষদ সদস্য ও গ্রীন ভয়েসের সমন্বয়ক মোনছাফা তৃপ্তি ও নাজনীন তিতলি, সিডিপির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার, এডওয়ার্ড এ মধু প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মিহির বিশ্বাস বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা নদীকে যারা খাল বা চ্যানেলে রুপান্তর করেছে এবং এটা চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তাদের খুঁজে বের করে প্রত্যেকের শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারলে এটি রক্ষা করা সম্ভব না। ঢাকা শহরের ২ কোটি মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে যারা তামাশা করছে তাদের ছাড় দেওয়া যাবে না। তাদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি।

Advertisement

মানববন্ধন থেকে আদি বুড়িগঙ্গা রক্ষায় নিম্নলিখিত দাবিসমূহ উত্তাপন করা হয়

১. আদি বুড়িগঙ্গা নদীকে উদ্ধার খনন করে এটিকে স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে দিতে হবে।

২. কালু নগর খাল দখলমুক্ত করে আদি বুড়িগঙ্গা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করে নৌপথ চালু করতে হব।

৩. যথাযথভাবে নদী, সংশ্লিষ্ট খালসমূহ ও প্লাবন অঞ্চল চিহ্নিত করে দখলদারদের বিষয়ে উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Advertisement

৪. রাজধানীর চারিদিকে চক্রাকার নৌপথ চালু করতে অবলিম্বে সব প্রতবিন্ধকতা দূর করে চক্রাকার নৌপথ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হব।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দলের নেতা মো. ফরিদ উদ্দিন সোহেল, বিশিষ্ট সমাজ সেবী রুস্তম খান, গ্রীন ভয়েস রংপুর কারমাইকেল শাখার সদস্য সুমাইয়া নুর, বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চার সদস্য মো. সেলিমসহ স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিভিন্ন পরিবেশবাদী, নদী কর্মী ও সামাজিক সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিরা।

আরএএস/এমআইএইচএস/এমএস