জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে থাকা তরুণদের ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়ের জন্য কেঁদেছে। আন্দোলনের পর বাংলাদেশের দেয়ালগুলো ন্যায়ের জন্য কেঁদেছে। আমরা দেয়াল লেখনীর ও ছবির শক্তি দেখতে পেয়েছি। যারা এ কাজটি করেছেন তাদের সম্মান জানাই। দেয়াল লেখনীর শক্তির ফলশ্রুতিতে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ ও স্বাধীনতা দেখতে পাচ্ছি।
Advertisement
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা ইউনিক কাজ করেছে। আজকের এক্সিবিশনে প্রকাশ পেয়েছে নতুন বাংলাদেশের, নতুন স্বপ্নের। যা আমাদের ইন্সপায়ার করছে। তাদের দেয়ালচিত্র আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে। এ ছবির ভিশন নতুন বাংলাদেশ, যার সীমানা আকাশে। যা আশা জাগায়, সচেতন করে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার পান্থপথের দৃকপাঠ ভবনে ‘পেইন্ট দ্য স্কাই, মেক ইট ইওরস: তারুণ্যের চোখে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। দৃক গ্যালারিতে প্রদর্শনীটির আয়োজন করে বিশ্বব্যাংক।
প্রদর্শনীতে সারাদেশে ছাত্র ও তরুণদের আঁকা প্রাণবন্ত দেয়াল শিল্প দেখানো হয়েছে, যা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে তুলে ধরে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ ১২টি জেলা থেকে শিল্পকর্মগুলো এসেছে।
Advertisement
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, আমরা বাংলাদেশের যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পার্টনার হিসেবে কাজ করতে চাই। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গঠনে যুবকরা যে ভূমিকা পালন করে তা বিশ্বব্যাংক সবসময়ই স্বীকার করেছে। আমরা বিশ্বব্যাপী যুবসমাজের ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা শক্তিশালী চিত্রকর্মকে সম্মান জানাতে চাই।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নয়ন সহযোগী ছিল বিশ্বব্যাংক। ৫০ বছরের অংশীদারত্বে বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, এবং দেশটিকে তার উন্নয়ন অগ্রাধিকারগুলো মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন করেছে। বর্তমানে ৫২ টি চলমান প্রকল্পের প্রায় ১৬ বিলিয়ন অর্থায়ন সহ, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় আইডিএ প্রোগ্রাম রয়েছে। বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী।
এমওএস/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement