১৮ বছর পর ‘পঞ্চপাণ্ডব’ ছাড়া টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। মাশরাফি বিন মর্তুজার টেস্ট ক্যারিয়ারটা ২০০৯ সালে ইনজুরির কারণে শেষ হয়ে গেলেও মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দীর্ঘ এক যুগের মতো সময় টেস্ট দলে ছিলেন।
Advertisement
তারপর ২০২১ সাল থেকে মাহমুদউল্লাহ আর ২০২৩ সাল থেকে তামিমও টেস্ট দলের বাইরে। সর্বশেষ ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেললেও এ সিরিজে ইনজুরির কারণে দলের বাইরে মুশফিকও। রাজনৈতিক কারণে খেলতে পারছেন না সাকিব। যার ফলে দেড় যুগ পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে থাকছেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটের ৫ শীর্ষ তারকার কেউ।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে পারফরমার হিসেবে ওই ৫ জন সবার সেরা। এমন নয়, সেটা নিরুপন খুব কঠিন। মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ার খুঁটিয়ে দেখলেই বেরিয়ে আসবে, তারা পরফরমার হিসেবে কত বড়।
ব্যাটিং ও বোলিংয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে ৫ জনকে পেছনে ফেলার মত সে অর্থে কেউ নেই এখনো। টেস্ট ক্রিকেটে রান তোলা ও উইকেট প্রাপ্তিতে এখনো সাকিব, তামিম, মুশফিকই সবার ওপরে। তাদের পারফরম্যান্স সবসময়ই দলের প্রধান শক্তি। গত দেড় যুগে বাংলাদেশ দলের ফল নির্ভর করতো আসলে ওই ৫ জনের পারফরম্যান্সের ওপরই। তাদের সবাইকে ছাড়া প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে কেমন চাপ অনুভব করছে নতুন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ? মিরাজ অকপপেই স্বীকার করে নিলেন, তিনি মিস করছেন সিনিয়রদের। তাদের ছাড়া খেলা কঠিন হবে। তাদের অভাব পূরণ করাও কঠিন।
Advertisement
তবে অধিনায়ক হিসেবে মিরাজের অনুভব, সিনিয়রদের অনুপস্থিতি তরুণদের সামনে এগিয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। তাই তো অধিনায়ক মিরাজের কণ্ঠে এ কথা, ‘কখনও কখনও আমরা সিনিয়র ক্রিকেটারদের মিস করি। যেমন মুশফিক ভাই ইনজুরড, তিনি খেলছেন না। সাকিব ভাই নেই। উনি ইতোমধ্যেই অবসরের কথা বলেছেন। এটা কঠিন হবে। তবু আমরা বিশ্বাস করি, আমরা ভালো করতে পারি।’
মিরাজ যোগ করেন, ‘আমি যেমন বলেছি, ভালো একটা দল আছে। কিছু তরুণ ক্রিকেটার এসেছে, তাদের এই কন্ডিশনে পারফর্ম করার সুযোগ মিলেছে। আমরা বিশ্বাস করি, যে ভালো খেলতে পারবো ও ভালোভাবে ফিরে আসতে পারবো।’
এমএমআর/জিকেএস
Advertisement