শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক ফ্যাশন রিটেইলার সিঅ্যান্ডএ সোর্সিংকে বাংলাদেশ থেকে সিন্থেটিক ফাইবারের তৈরি পোশাকসহ উচ্চমূল্যের ফ্যাশন পণ্য আরও বেশি কেনার আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন।
Advertisement
সোমবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার উত্তরায় সিঅ্যান্ডএ সোর্সিংয়ের হেড অব সোর্সিং আলেকজান্দ্রে সস-সালাস বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কার্যালয়ে প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিঅ্যান্ডএ সোর্সিংয়ের আঞ্চলিক সোর্সিং ম্যানেজার শান্তনু সিং।
আরও পড়ুন এস আলম-বেক্সিমকো যেই হোক, কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে দেবো না সোর্সিং জার্নালের সামিটে পোশাক খাতের অগ্রগতি তুলে ধরলো বিজিএমইএসিঅ্যান্ডএ সোর্সিং ইউরোপে প্রায় ১৩শ স্টোর পরিচালনা করে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রধান পোশাক ক্রেতাগুলোর মধ্যে অন্যতম। বহু বছর ধরে বাংলাদেশ দেশ থেকে তারা পোশাক সোর্সিং করে আসছে।
আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, বৈশ্বিক বাজারের প্রবণতা এবং ব্যবসা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা। বিশ্ব বাজারে শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিজিএমইএ ও সিঅ্যান্ডএ সোর্সিং কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
Advertisement
বৈঠকে বিজিএমইএ প্রশাসক আনোয়ার হোসেন দেশের পোশাক খাতে যে রূপান্তরমূলক অগ্রগতি ঘটেছে, তা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। তিনি বৈশ্বিক ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্বমূলক ভূমিকা পালন এবং যৌক্তিক সোর্সিং অনুশীলনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) প্রত্যয়িত ২৩০টি লিড কারখানাসহ বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার আবাসস্থল বাংলাদেশ। বিশ্বের ১০০টি শীর্ষস্থানীয় লিড কারখানাগুলোর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি বাংলাদেশে অবস্থিত।’
সিন্থেটিক ফাইবার থেকে তৈরি পোশাকসহ উচ্চমূল্যের ফ্যাশন আইটেমগুলোর দিকে বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে ঝুঁকছে উল্লেখ করে আনোয়ার হোসেন সিঅ্যান্ডএ সোর্সিংকে বাংলাদেশ থেকে পোশাক, বিশেষ করে উচ্চমূল্যের পোশাক পণ্যের সোর্সিং বাড়ানোর আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ এবং উন্নয়নের বিষয়টিও সিঅ্যান্ডএ প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন, যা পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
Advertisement
আইএইচও/এএসএ/জিকেএস