সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে ৭ ওভারের ম্যাচে পরিণত হয়েছিল। সে ম্যাচেও ২৯ রানের বড় ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। এবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৪৭ রানে আটকে দিয়েও জিততে পারলো না মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।
Advertisement
জয়ের আশা জাগিয়ে শেষ ওভারে এসে ১৩ রানে হেরেছে পাকিস্তান। এতে করে তিন ম্যাচ সিরিজ এক টি-টোয়েন্টি বাকি থাকতেই জিতে নিলো অস্ট্রেলিয়া।
এই ম্যাচেও ব্যাটাররাই ডুবিয়েছেন পাকিস্তানকে। অধিনায়ক রিজওয়ান ওপেনিংয়ে নেমে ২৬ বল খেলে করেন মাত্র ১৬ রান। বাবর আজম ৩ আর সালমান আঘা রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩০ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। পরের দিকে উসমান খান ৩৮ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন।
Advertisement
কিন্তু উসমান ফেরার পর পাকিস্তান লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে। একটা প্রান্ত ধরে শেষ ওভার পর্যন্ত খেলে গেছেন ইরফান খান। কিন্তু তার ২৮ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটি দলের কোনো কাজে আসেনি। ২ বল বাকি থাকতে ১৩৪ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার স্পেনসার জনসন। ২৬ রান খরচায় একাই ৫টি উইকেট শিকার করেন তিনি। ১৯ রানে ২ উইকেট নেন অ্যাডাম জাম্পা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটে ১৪৭ রানেই আটকে দিয়েছিল পাকিস্তান। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন হারিস রউফ, আব্বাস আফ্রিদিরা। ৭ উইকেট হাতে থাকলেও শেষ ১১ ওভারে অর্থাৎ ৬৬ বলে মাত্র ৬৪ রান নিতে পারে অস্ট্রেলিয়া।
অথচ ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথু শর্ট আর জ্যাক ফ্রেসার-ম্যাকার্গ ২২ বলে গড়েন ৫২ রানের জুটি। চতুর্থ ওভারে ৯ বলে ২০ করা ম্যাকার্গকে আউট করে এই জুটিটি ভাঙেন হারিস রউফ। এক বল পর তিনি ফেরান জস ইঙলিশকে (০)।
Advertisement
১৭ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩২ রানে পৌঁছে যাওয়া শর্টকে বোল্ড করেন আব্বাস আফ্রিদি। এরপরই রানের গতি কমতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার।
পাকিস্তানি বোলারদের তোপে পরের ব্যাটাররা কেউ মারকুটে ইনিংস খেলতে পারেননি। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২০ বলে ২১, মার্কাস স্টয়নিস ১৫ বলে ১৪, টিম ডেভিড ১৯ বলে ১৮ আর অ্যারন হার্ডি করেন ২৩ বলে ২৮।
পাকিস্তানের হারিস রউফ ২২ রানে ৪টি, আব্বাস আফ্রিদি ১৭ রানে ৩টি আর সুফিয়ান মুকিম ২১ রানে নেন ২টি উইকেট।
এমএমআর/জেআইএম