নির্মাণ, আবাসন, বিদ্যুৎ ও সংশ্লিষ্ট শিল্পকেন্দ্রিক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে।
Advertisement
২৮ বছরের ধারাবাহিকতায় কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেসের (সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ) আয়োজনে ১৪-১৬ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে ‘বিল্ড সিরিজ অফ এক্সিবিশন’ এবং ‘পাওয়ার সিরিজ অফ এক্সিবিশন’ সংশ্লিষ্ট ৬টি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীসমূহ হলো: ২৯তম বিল্ড বাংলাদেশ ২০২৪, ২৩তম রিয়েল এস্টেট এক্সপো ২০২৪, ৬ষ্ঠ ওয়াটার বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এক্সপো ২০২৪, ২৬তম পাওয়ার বাংলাদেশ ২০২৪, ২১তম সোলার বাংলাদেশ ২০২৪ এবং ৬ষ্ঠ ঢাকা আন্তর্জাতিক লাইটিং এক্সপো ২০২৪।
প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন সেমস-গ্লোবালের সিইও এস. এস. সারওয়ার, সেমস-গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক তানভীর কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
Advertisement
প্রদর্শনীসমূহে ৫০০ এর বেশি বুথসহ ২০টি দেশের প্রায় ১৯৫টিরও বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে। নির্মাণ, আবাসন ও বিদ্যুৎ শিল্পবিষয়ক এ প্রদর্শনীতে আরও থাকছে ওয়াটার, সোলার এবং লাইটিং পণ্যের সমাহার।
প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি), ১, ২, ৩ এবং ৪ নম্বর হলে এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীসমূহ অনুষ্ঠিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শনীসমূহ উন্মুক্ত থাকবে। পাশাপাশি প্রদর্শনী চলাকালীন সংশ্লিষ্ট শিল্পবিষয়ক তিনটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন. ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে প্রদর্শনীসমূহ আয়োজনের নানাবিধ বিষয় তুলে ধরে বলেন, বহুমাত্রিক শিল্পক্ষেত্র নিয়ে আয়োজিত এ প্রদর্শনীসমূহ বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আমরা আশাবাদী। একাধারে নির্মাণ শিল্প, আবাসন ও বিদ্যুৎ শিল্পের অগ্রগতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্মাণশিল্প বাজারের আকার ২০২৮ সালে ৪১.৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, যা ২০২৩ সালেও ছিলো ৩০.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কাজেই, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে নির্মাণ খাত একটি বড় চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচ্য।
Advertisement
মেলার উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি বলেন, প্রদর্শনীসমূহ সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সরাসরি বি-টু-বি যোগাযোগ স্থাপন ও বাণিজ্যের প্রসারে এক ছাদের নিচে নানাবিধ সমস্যার ফলপ্রসূ সমাধানের লক্ষ্যে আয়োজিত হচ্ছে। প্রদর্শনীসমূহে ৫০০ এর বেশি বুথসহ ২০টি দেশের প্রায় ১৯৫টিরও বেশি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, বহুক্ষেত্রীয় প্রদর্শনীসমূহ সংশ্লিষ্ট শিল্পক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। পাশাপাশি বি-টু-বি সংযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে ত্বরাণিত করছে। যা, ক্রেতা এবং সরবরাহকারীদের রাজধানী ঢাকায় একই ছাদের নিচে একত্রিত হয়ে পণ্য প্রদর্শন ও একে অপরের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের ওয়ান-স্টপ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে।
সেমস-গ্লোবাল ইউএসএ নিউইয়র্ক ভিত্তিক একটি পেশাদার বহুজাতিক প্রদর্শনী ও সম্মেলন আয়োজক সংস্থা। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত, সেমস-গ্লোবল ৩২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৪টি মহাদেশে বাণিজ্য ও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক খাত সংশ্লিষ্ট পেশাদার বিজনেস-টু-বিজনেস (বি-টু-বি) ট্রেড শো আয়োজন করে আসছে।
এসআরএস/এমআরএম/জেআইএম