বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশগুলো সব সময় কোনো না কোনো কারণে আলোচনায় থাকে। এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ কিংবা নিরাপদ সব কিছুর খবর সামনে আসে নানানভাবে। তবে জানেন কি, বিশ্বের এমন কিছু দেশ আছে যেখানে একবিংশ শতাব্দীর উন্নতির কিছুই এখনো পৌঁছায়নি।
Advertisement
সেসব দেশে মানুষের খাবার, শিক্ষা, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা কোনো মৌলিক চাহিদাই ঠিকমতো পূরণ করতে পারেন না তারা। অশিক্ষা, দারিদ্র্য, মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বে ধুঁকছে সেসব দেশ। গ্লোবাল ফাইন্যান্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায় বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হচ্ছে দক্ষিণ সুদান। এছাড়া বিশ্বের দরিদ্র দেশের তালিকায় সবচেয়ে বেশি হচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো।
দক্ষিণ সুদানআফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদান বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। দক্ষিণ সুদানের ১১ মিলিয়ন মানুষ চরম দারিদ্র্যের সম্মুখীন। দেশটির রাজধানীর নাম জুবা। ২০১১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে দেশটি পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশের মধ্যে চলে এসেছে। তেলের ভাণ্ডারে সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ সুদান তাদের অর্থনীতি মজবুত করে উঠতে পারেনি।
আরও পড়ুনবাস নম্বর ৩৭৫-এর রহস্য আজও অজানা বুরুন্ডিবুরুন্ডি বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ। এই দেশটি দীর্ঘদিন ধরে গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন। বুরুন্ডির প্রায় ১৩ মিলিয়ন নাগরিকের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সাধারণ জিনিসগুলোর জন্য এখনও লড়তে হচ্ছে বুরুন্ডিকে। সেই সঙ্গে পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা খুবই খারাপ। এছাড়া মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশের কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারে।
Advertisement
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র বিশ্বের তৃতীয় দরিদ্রতম দেশ। অথচ স্বর্ণ, তেল, ইউরেনিয়াম ও হীরের মতো বহু মূল্য়বান রত্নভান্ডার থাকা সত্ত্বেও দারিদ্রতায় ডুবে আছে এই দেশ। এই দেশের মোট জনসংখ্যা ৫৫ লাখ। ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর প্রথমবারের মতো, ২০১৬ সালে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র গণতান্ত্রিকভাবে একজন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়। তবে এই দেশের সরকার দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে নানান কাজ করে চলেছে।
সোমালিয়াসোমালিয়া বিশ্বের চতুর্থ দরিদ্রতম দেশ। দেশজুড়ে অস্থিতিশীলতা, সেনাবাহিনী অত্যাচার এবং জলদস্যুদের সন্ত্রাসে বিপর্যস্ত এই দেশ। ১৯৬০ সালে সোমালিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। বর্তমান সময় পর্যন্ত সোমালিয়া অর্থনৈতিকভাবে সমস্যায় রয়েছে। এই দেশের মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ২৬ লাখ, ২০২০ সালে করোনার প্রভাবে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশটি।
কঙ্গোকঙ্গো বিশ্বের পঞ্চম দরিদ্রতম দেশ। স্বৈরাচার, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সহিংসতা কঙ্গোর অবস্থাকে আরও খারাপ করেছে। কঙ্গোর জনসংখ্যার তিন-চতুর্থাংশ দিনে দুই ডলারও খরচ করতে পারে না। ১৯৬০ সালে বেলজিয়াম থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে, ডিআরসি কয়েক দশক ধরে লোমহর্ষক একনায়কত্ব, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং ক্রমাগত সহিংসতার শিকার হয়েছে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর আমাদের র্যাঙ্কিংয়ে নিয়মিত হয়ে উঠেছে। দেশের প্রায় ১০০ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশ প্রতিদিন ২.১৫ ডলারের কম আয় করে। তবুও বিশ্বব্যাংক বলেছে যে ডিআরসি-এর সম্পদ এবং সম্ভাবনা রয়েছে আফ্রিকার অন্যতম ধনী দেশ এবং সমগ্র মহাদেশের জন্য একটি বৃদ্ধির চালক হওয়ার। দেশটি এরই মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম কোবাল্ট উৎপাদনকারী এবং আফ্রিকার তামার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে ।
আরও পড়ুনযে দেশে পোকামাকড়, সাপ কিছুই নেইটাক মাথা পুরুষের ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন আনেসূত্র: গ্লোবাল ফাইন্যান্স
Advertisement
কেএসকে/জেআইএম