আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজের তাপমাত্রা কমানো বা বাড়ানোর দিকেও নজর রাখা জরুরি। না হলে খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখন অক্টোবর মাস, সকালে একটু ঠান্ডা আবার রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমালেও ঠান্ডা লাগে।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই ফ্রিজের পানি পান করাও বন্ধ করে দেন। কারণ আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সর্দি-কাশির সমস্যা বেড়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে মানুষ ফ্রিজও কম ব্যবহার করেন।
আপনি যদি এরই মধ্যে বরফ সংরক্ষণ বা ফ্রিজে পানির বোতল রাখা বন্ধ করেন, তাহলে ফ্রিজের তাপমাত্রা কিছুটা কমাতে পারেন। এতে করে আবহাওয়া অনুযায়ী ফ্রিজ ঠিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত। ফলে ভালো থাকবে খাবারও।
বাইরের তাপমাত্রা অনুযায়ী ফ্রিজের তাপমাত্রা ঠিক না রাখলে ফ্রিজে রাখা খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে গরম বা শীত বিভিন্ন আবহাওয়ায় ফ্রিজের তাপমাত্রা নির্ধারণ করতে হয় ফ্রিজের ধরনের উপর।
Advertisement
আরও পড়ুন
স্ত্রী আপনাকে ভালোবাসে কি না বুঝবেন যেভাবেজিরা পানি পানে ত্বকের যেসব সমস্যার সমাধান ঘটেঅনেক রেফ্রিজারেটরের ধরনের উপর নির্ভর করে ১-৯ বা ১-৭ নম্বর ডায়ালের তাপমাত্রা সেটিং থাকে। ৭ বা ৯ হলো সবচেয়ে বেশি ঠান্ডার জন্য। সর্বনিম্ন সংখ্যা অর্থাৎ ১ হলো ফ্রিজের উষ্ণতম সেটিং।
সাধারণত ঠান্ডা সেটিং একটি সংখ্যার উপর ভিত্তি করে ও সংখ্যা যত বেশি হবে, তাপমাত্রা তত বেশি হবে। যদি আপনার ফ্রিজ বেশি ঠান্ডা হয়ে যায় তাহলে ডায়ালের নম্বর কমিয়ে দিন।
এই মুহূর্তে যেহেতু আবহাওয়া খুব ঠান্ডা বা খুব গরম নয়। তাই ফ্রিজের তাপমাত্রা ৪ বা ৫ নম্বরে রাখা যেতে পারে। ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে ফ্রিজের তাপমাত্রাও বাড়াতে থাকতে হবে।
Advertisement
তবে খাবারের তাপমাত্রা ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলেই সেই খাবারে উপকারী ও ক্ষতিকর দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার শুরু হয়। এছাড়া ফ্রিজে রাখা খাবারের মান ভালো রাখতে হলে যন্ত্রটি নিয়মিত পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান টাইমস
জেএমএস/জেআইএম