জাতীয়

প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী

ঢাকা, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও রামুসহ সারাদেশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণভাবে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ উদযাপন করছেন।

Advertisement

এ উপলক্ষে বৌদ্ধ পল্লি, জনপদ ও বিহারগুলোতে সপ্তাহব্যাপী বিবিধ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসব চলাকালীন শান্তিশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে সমতলের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন শুভ সময়ের আশায় আকাশে উড়লো হাজারো ফানুস

আইএসপিআর জানায়, গত ১০ অক্টোবর সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের প্রতিনিধিদল। সেসময় সেনাবাহিনী প্রধান তিন পার্বত্য জেলায় ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ ও ‘কঠিন চীবর দান’ উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

Advertisement

এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে সেনাপ্রধান পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসবসমূহ পালন করার জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের অনুকূলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক কোটি টাকার চেক অনুদান হিসেবে প্রদান করেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার, রোয়াংছড়ি উপজেলা, জ্ঞানরত্ন বৌদ্ধ বিহার ও বান্দরবান সদরের পাশাপাশি খাগড়াছড়ি জেলার শালবন বৌদ্ধ বিহার ও দীঘিনালা এবং রাঙ্গামাটি জেলার সধর্ম বৌদ্ধ বিহার, রিজার্ভ বাজার, রাঙ্গামাটি সদর ও লংগদু উপজেলায় উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে ‘শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা’ উদযাপিত হয়।

আরও পড়ুন তিন পার্বত্য জেলায় কঠিন চীবর দান না করার সিদ্ধান্ত

সেনাপ্রধানের দিকনির্দেশনায় এ উৎসব চলাকালীন শান্তিশৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছে।

Advertisement

এছাড়াও আসন্ন মাসব্যাপী ‘কঠিন চীবর দান’ অনুষ্ঠান আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অন্য বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে ধর্মীয় উৎসবের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়েছে।

টিটি/এমকেআর/জিকেএস