ড্রাগন ফলের কাণ্ড লাল বা বাদামি দাগের সৃষ্টি হলে কাণ্ড হলুদ হয়ে যায়। এ রোগের কার্যকারক হলো বোট্রিওসফেরিয়া ডথিডিয়া নামক একটি ছত্রাক। যার ফলে ড্রাগন ফলের কাণ্ডে লাল বা বাদামি ক্ষত দেখা যায়। কখনো কখনো এগুলো দেখতে বুল’স-আই দাগের মতো এবং কখনো কখনো একসাথে বেশ কয়েকটি দাগ পাওয়া যেতে পারে।
Advertisement
রোগটি সংক্রমিত শাখায় হলুদ হয়ে শুরু হয় এবং ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। রোগটি ছাঁটাই কাঁচি এবং অন্য সরঞ্জামের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বেশিরভাগ রোগ অপরিচ্ছন্ন বাগান, বিশেষ করে অপরিষ্কার যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ছড়ায়।
আরও পড়ুনপাহাড়ে অ্যাভোকাডো চাষে সফল ওমর শরীফ কালীগঞ্জে বাণিজ্যিক পেঁপে চাষে সফল কৃষক
ব্যবহারের মধ্যে যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে রোগ না ছড়ায়। অ্যালকোহল, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড বা খুব হালকা ব্লিচিং পাউডারের জলের দ্রবণ দিয়ে যন্ত্রপাতি জীবাণুমুক্ত করা যেতে পারে।
Advertisement
কিছু রোগ সংক্রমিত উদ্ভিদ এবং একটি অসংক্রমিত উদ্ভিদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাই রোপণের মধ্যে কিছু জায়গা ছেড়ে দিন। এ ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম কপার ছত্রাকনাশক অর্থাৎ ব্লিটক্স ৫০ গুলে স্প্রে করলে এ রোগের তীব্রতা কমানো যায়।
এসইউ/