বিনোদন

সেই কালো মিঠুন পেলেন সর্বোচ্চ সম্মান

‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কালো রং চলবে না’, মিঠুন চক্রবর্তীর ব্যাপারে এটাই ছিল ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সিদ্ধান্ত। তাকে অভিনেতা হওয়ার চিন্তা বাদ দিতে বলা হয়েছিল। চল্লিশ বছর পর তার হাতেই তুলে দেওয়া হলো অভিনয়ে অনবদ্য অবদানের সম্মান।

Advertisement

গতকাল মঙ্গলবার দিল্লির বিজ্ঞানভবনে ছিল ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। সেরা অভিনয়শিল্পীদের হাতে পুরস্কারের স্মারক তুলে দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর, মণি রত্নম, মনোজ বাজপেয়ী, এ আর রহমান, প্রীতম, ঋষভ শেঠিসহ ভারতের চলচ্চিত্র জগতের সব ডাকসাইটে তারকারা। ওই অনুষ্ঠানেই ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে গ্রহণ করেন মিঠুন চক্রবর্তী।

National Film Awards, 1976 Best ActorNational Film Awards, 1992 Best Actor National Film Awards, 1995 Best Supporting Actor National Film Awards, 2024 - Dadasaheb Phalke Award, India's highest cinema honourHeartiest congratulations #MithunChakraborty#NationalFilmAwards2024 pic.twitter.com/MoVdXNTxGC

— Arpita (@arpita_dg) October 8, 2024

গতকাল কিছুটা অসুস্থ অবস্থায় দেখা গেছে মিঠুনকে। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, মিঠুন এদিন বাঙালির পোশাক ধুতি-পাঞ্জাবি পরে উপস্থিত হয়েছিলেন ওই আয়োজনে।

Advertisement

মিঠুন বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে যখন এলাম, লোকে বলতো, এখানে তোমার কী? রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় লোকে কালিয়া বলে ব্যঙ্গ করতো। আমি ভাবতাম, কী করব? ভগবানকে বলতাম, কী করব? গায়ের রং তো পাল্টাতে পারব না! তখন ভাবলাম, আমি তো নাচতে পারি। এমনভাবে নাচব, যাতে লোকে আর গায়ের রঙের দিকে তাকানোর সময় না পায়। সেই থেকে পা থামতে দিইনি। লোকে তখন আমার গায়ের রঙের কথা ভুলে গেল। আমি হয়ে গেলাম সেক্সি, ডাস্কি বাঙালি বাবু।’

১৯৭৬ সালে মৃণাল সেন পরিচালিত ‘মৃগয়া’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক হয় মিঠুন চক্রবর্তীর। প্রথম চলচ্চিত্রেই বাজিমাত করেন তিনি, সেরা অভিনেতা হিসেবে পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৮২ সালে ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ ছবিতে দারুণ সাফল্য পান মিঠুন চক্রবর্তী। ভারতসহ বিশ্বব্যাপী ব্যবসা করে সিনেমাটি। এই সিনেমার মাধ্যমে ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ হিসেবে খ্যাতি পান মিঠুন চক্রবর্তী। এরপর বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তিনবার পেয়েছেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

আরএমডি/এমএমএআর/এমএস

Advertisement