বিদ্যুতের ক্যাবল নষ্ট এবং ট্রান্সফরমার পুড়ে যাওয়ায় ২৫০ শয্যা জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল তিনদিন ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে ফ্রিজে থাকা জরুরি ওষুধ।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতালের দুটি ট্রান্সফরমারের একটি বিকট আওয়াজ হয়ে পুড়ে যায়। তখন থেকেই বিদ্যুৎহীন জেনারেল হাসপাতাল। ২৪ ঘণ্টায় তিন থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে বলে অভিযোগ রোগীদের।
হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীর স্বজন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সর্দারপাড়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। আমার বাচ্চাকে শ্বাসকষ্টের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছি। বিদ্যুৎ না থাকায় বাচ্চাকে গ্যাস দিতে পারছি না। এতে বাচ্চার শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে গেছে।’
মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা আসমাউল বলেন, ‘চারদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি। খুব কষ্টে আছি। সারাদিন-রাতে তিন চার ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না। এই গরমে হাসপাতালে থাকা খুব কষ্টদায়ক হয়ে গেছে।’
Advertisement
কথা হয় শিশু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স তাসলিমা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের অভাবে অক্সিজেনের লেভেল কমে যাচ্ছে। শিশুদের ওয়ার্মার মেশিন বন্ধ, থেরাপি দেওয়া যাচ্ছে না।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাসপাতালের জেনারেটরটি পুরোনো হয়ে গেছে। এক থেকে দেড়ঘণ্টার বেশি ব্যাকআপ দিতে পারে না। বিদ্যুৎ বিভাগের এবং গণপূর্তের প্রকৌশলীরা পরিদর্শন করে গেছেন। খুব শিগগির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে জামালপুর পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী মহিবুল আজাদ বলেন, হাসপাতালের বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় গণপূর্ত থেকে। গণপূর্ত ট্রান্সফরমার চেঞ্জ করে দিলে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারবো।
জামালপুর গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোবারক হোসেন, ট্রান্সফরমার পুড়ে যাওয়ার বিষয়ে আমাকে কেউ জানাননি। তারপরও আমরা বিষয়টা দেখবো
Advertisement
এসব বিষয়ে জানতে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এসআর/এমএস