খেলাধুলা

পিসিবির বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণের অভিযোগ ইমাম-উল-হকের

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বিরুদ্ধে প্রায় সময়ই স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠে। কয়েকদিন আগে এই অভিযোগ করেন আহমেদ শেহজাদ। একইসঙ্গে বোর্ড কর্তাদের আত্মীয় হওয়ার কারণে বাদ পড়েছেন, এমন অভিযোগও আছে।

Advertisement

সম্প্রতি পিসিবির বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণের অভিযোগ তুলেছেন ইমাম-উল-হক। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামামুল হকের ভাতিজা তিনি। ইনজামাম প্রধান নির্বাচক থাকাকালীন ভালো না খেললেও ইমামকে দলে নিয়েছেন, এমন অভিযোগ উঠেছিল।

এরপর নির্বাচকের পদ থেকে চাচা ইনজামামের সরে যাওয়ার পর থেকেই জাতীয় দলে জায়গা পাচ্ছেন না ইমাম। ব্যাপারটাকে তার প্রতি অন্যায় বলে মনে করছেন পাকিস্তানি বাঁহাতি ব্যাটার।

স্থানীয় একটি শো-তে গিয়ে পিসিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ইমাম। শো-র একটি অংশের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে এটি নিয়ে আলোচনাও জমেছে বেশ।

Advertisement

ইমামুল পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। সেটি টেস্ট ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এরপর থেকে পাকিস্তানের ভগ্নদশা ও ওপেনারদের খারাপ পারফরম্যান্সের পরেও বিবেচনায় আসেননি ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটার।

টেস্টে ইমামুলের পরিসংখ্যান খুব একটা খারাপ নয়। ২৪ ম্যাচে ৩৭.৩৩ গড়ে ১ হাজার ৫৬৮ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৯টি অর্ধশতকের ইনিংস বেরিয়ে এসেছে ইমামের ব্যাট থেকে।

ওয়ানডে ব্যাটিং গড় আরও ভালো, ৪৮.২৭। ৭২ ম্যাচে ইমামের ব্যাট থেকে এসেছে ৩ হাজার ১৩৮ রান। এ রান করতে ৯টি সেঞ্চুরি ও ২০টি ফিফটির সহায়তা নেন তিনি।

সাক্ষাৎকালে শো-এর সঞ্চালক তাবিশ হাসমি সরাসরি ইমামকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি পিসিবির কোনো অন্যায় কাজের গন্ধ পাচ্ছেন কিনা। জবাবে হ্যাঁ-বোধক উত্তর দেন ইমাম।

Advertisement

পরবর্তীতে চাচা ইনজামামকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ইমামকে।

পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব থেকে একবার ইনজামাম তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছিল মিসবাহ-উল-হককে। অধিনায়ক হিসেবে ভালো করা সত্ত্বেও ইনজামামকে বাদে দেওয়া হয়েছিল কিনা, এমন প্রশ্নেও হ্যাঁ-সূচক জবাব দেন ইমাম।

সাক্ষাৎকারে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব থেকে বাবর আজমের পদত্যাগ নিয়েও কথা বলেন ইমাম। সমালোচনার মুখে পড়ে বাবর এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে মনে করেন তিনি। তবে ইমামের চোখে এখনো বাবরই পাকিস্তানের যোগ্য নেতৃত্ব।

এমএইচ/জেআইএম