আইন-আদালত

ড. ইউনূসকে ৬৬৬ কোটি টাকা কর দেওয়ার রায় প্রত্যাহার

পাঁচ করবর্ষের বিপরীতে ৬৬৬ কোটি টাকা প্রদেয় কর দাবি নিয়ে কর কমিশনারের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গ্রামীণ কল্যাণের করা পৃথক রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। গত ৪ আগস্ট দেওয়া সেই রায় স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।

Advertisement

হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতির কাছে এ মামলার নথি পাঠানো হয়েছে।

কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই বেঞ্চে কনিষ্ঠ বিচারক একসময় এসব মামলায় সরকার পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাই রায়টি প্রত্যাহার করে মামলার নথি প্রধান বিচারপতি বরাবর পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) গ্রামীণ কল্যাণের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান ছিলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

পুনর্মূল্যায়নের পর ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ —এই করবর্ষের জন্য গ্রামীণ কল্যাণের কাছে প্রদেয় কর দাবি নিয়ে গ্রামীণ কল্যাণ ২০১৭ সালে পৃথক রিট করে।

আরও পড়ুন গ্রামীণ কল্যাণের ৬০০ কোটি টাকা কর ফাঁকির মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। শুনানি শেষে গত বছরের ১৭ অক্টোবর হাইকোর্ট রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে এনবিআর গত বছর পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। গত ১১ মার্চ আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টে মূল বিষয়বস্তুর ওপর শুনানির নির্দেশ দেন। সে অনুসারে শুনানি শেষে ৪ আগস্ট রুল খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।

রায়ের পর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি জানিয়েছিলেন, পাঁচটি করবর্ষের জন্য গ্রামীণ কল্যাণের কাছে কর বাবদ ৬৬৬ কোটি টাকা দাবি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। রিট দুটি খারিজ হওয়ায় আয়কর বাবদ গ্রামীণ কল্যাণের কাছ থেকে ওই অর্থ আদায় করতে পারবে এনবিআর।

Advertisement

তবে গ্রামীণ কল্যাণের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করার কথা জানিয়েছিলেন।

এফএইচ/ইএ/জিকেএস