স্বাস্থ্য

ভিটেমাটি হারা দেড় শতাধিক পরিবারে হাসি ফোটালো পিএনআরএফআর

কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনী জেলায় সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ঘর-বাড়িসহ সব হারানো দেড় শতাধিক পরিবারের পুনর্বাসনে আর্থিক অনুদান দিয়েছে প্রফেসর নজরুল রিউমাটোলজি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ট্রাস্ট (পিএনআরএফআর)। বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কয়েকটি গ্রামের ১৫৬ পরিবার ও পিএনআরএফআরের তিন সদস্যের হাতে এ অনুদান তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫৩ পরিবারের পাশাপাশি ট্রাস্টের ৩ জন সদস্য, দুজন দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত রোগী ও মোহাম্মদপুরের একটি মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য মোট ২০ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে।

সুবিধাভোগীদের অনেকেই আকস্মিক বন্যায় ঘর হারিয়েছেন। কারও আবার ঘরের সঙ্গে ভিটেমাটিও ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। অনেকের ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হঠাৎ এমন বিপদের মুখে পড়া মানুষগুলোর তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তারা পিএনআরএফআরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

Advertisement

এ সময় পিএনআরএফআরের চেয়ারম্যান বাতরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন খুব বেশি প্রয়োজন। সে চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজে ট্রাস্টের কার্যনির্বাহী সদস্য এম এম আমিনুর রহমান সাব্বির, সাউথইস্ট ব্যাংকসহ যেসব সদস্য সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।

আরও পড়ুন গো-খাদ্যের তীব্র সংকট, বিপাকে খামারিরা এবার শীত বাড়বে, অতিবৃষ্টি-তাপপ্রবাহ থাকবে আগামী বছরও

তিনি বলেন, এই ট্রাস্ট সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। বাত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করে আসছে। এছাড়াও বাত রোগীর পাশাপাশি অন্যান্য দূরারোগ্য রোগীদের জন্য এককালীন চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের এককালীন সহায়তা ও বাৎসরিক বৃত্তি প্রদান, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, শীতবস্ত্র ও পঙ্গু রোগীদের হুইলচেয়ার বিতরণ, ধর্মীয় উপাসনালয় তৈরি ও মেরামতের কাজ নিয়মিত করে আসছে। যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা এমন উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আগামী দিনে এমন দুর্যোগে যেন আরও বড় পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় সেজন্য স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও আন্তর্জাতিক চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি, মেজর জেনারেল কাজী ইফতেখারুল আলম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সচিব আনোয়ারা বেগম প্রমুখ।

Advertisement

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নীরা ফেরদৌস, সেক্রেটারি জেনারেল ড. পীযুষ কান্তি বিশ্বাস, ডেপুটি সেক্রেটারি ডা. বর্ষা ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সোবহান, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. এনামুল হক, এম এফ ইসলাম মিলন, সামিউল হক, জোবায়ের আহমেদ, সাংবাদিক ও ইসি সদস্য মো. বোরহান উদ্দিন, মো. ইউসুফ প্রমুখ।

এএএম/কেএসআর/এএসএম