দেশজুড়ে

পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলি-পোস্টিং লটারিতে

বদলি-পোস্টিং বাণিজ্য রুখতে লটারি পদ্ধতি চালু করেছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক। ফলে টাকার বিনিময়ে পোস্টিং বন্ধ হয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিনিময়ে পোস্টিং দেওয়া সিন্ডিকেট।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে মো. রেজাউল হক বলেন, পুলিশের কনস্টেবল, এসআইসহ বিভিন্ন পদের লোকজন পছন্দের পুলিশ স্টেশনে পোস্টিং নেওয়ার চেষ্টা করেন। হাতেগোনা কয়েকটি স্টেশনে যেতে মরিয়া তারা। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে একজন কনস্টেবল এক লাখ টাকা বা তার বেশি দিতে হয়। সেখানে এসআই পদের কথা আর নাই বললাম।

তিনি বলেন, টাকা দিয়ে যারা পোস্টিং নেন সেখানে গিয়ে তারা টাকা তোলার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। ফলে তাদের দুর্নীতি করতে হয়। কিন্তু আমি যতদিন আছি সে দুর্নীতি কাউকে করতে দেওয়া হবে না। সেজন্য লটারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ডিআইজি বলেন, যারা যেখানে বদলি হতে চান সে জেলার নাম কাগজে লিখে একটি কাচের জারে রাখতে হয়। এরপর সিনিয়র বেসিসে এক এক করে ডাকা হয়। এক্ষেত্রেও নানা সতর্কতা মেনে চলতে হয় তাদের। কাগজে যার যা লেখা উঠবে সেই স্টেশনে তাকে যেতে হবে। তবে নিজের জেলা হলে তাকে সেখানে যেতে দেওয়া হয় না। আমি নিজে দুর্নীতি পছন্দ করি না। আমার এখানে কেউ দুর্নীতি করুক সেটা আমি চাই না।

Advertisement

গত ৭ সেপ্টেম্বর খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি হন মো. রেজাউল হক। তিনি ১৮তম বিসিএস ক্যাডার হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন। ২০২২ সালের ১১ মে অতিরিক্ত ডিআইজি থেকে পদোন্নতি পেয়ে ডিআইজি হন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তিনি এআইজি থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি পান। তখন তিনি পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি ছিলেন।

আলমগীর হান্নান/আরএইচ/এমএস