জাতীয়

বায়তুল মোকাররমের খতিব রুহুল আমিনকে অপসারণ

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা রুহুল আমিনকে অপসারণ করা হয়েছে।

Advertisement

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অপসারণের কথা জানানো হয়। রুহুল আমিন পলাতক অবস্থা থেকে গত শুক্রবার হঠাৎ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়াতে গেলে মসজিদের ভেতরেই দুপক্ষের মুসল্লিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিনকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণের মাধ্যমে খতিবের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে অপসারণ করা সংক্রান্ত একটি চিঠি রুহুল আমিনকে পাঠানো হয়।

Advertisement

সেই চিঠিতে বলা হয়, বায়তুল মোকাররমের গত শুক্রবারের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। মুফতি রুহুল আমিন ও তার অনুগত ছাত্র/বহিরাগত লোকদের মাধ্যমে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায়, সুষ্ঠুভাবে জুমার নামাজ পরিচালনার স্বার্থে আল্লামা মুফতি রুহুল আমিনকে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে একজন যোগ্য আলেমকে খতিব হিসেবে নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি সুপারিশ করে।

আরও পড়ুন

বায়তুল মোকাররমে ভাঙচুরের ঘটনায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা বায়তুল মোকাররমে ফিরে এলেন খতিব রুহুল আমিন, দুপক্ষের সংঘর্ষ  

চিঠিতে আরও বলা হয়, তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুমার দিন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য খতিব রুহুল আমিন ও তার সঙ্গে আসা প্রায় তিন শতাধিক ছাত্র/বহিরাগত লোকজনই দায়ী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তার প্রতি সাধারণ মুসল্লিদের অনাস্থা তৈরি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে তিনি জুমার নামাজ পড়াতে এলে আবারও হৈচৈ হট্টগোলসহ অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা থাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব পদ থেকে অপসারণের প্রস্তাব যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেন।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পলাতক ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এরপর থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জুমার নামাজ পড়িয়ে আসছিলেন। কিন্তু রুহুল আমিন গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ জুমার নামাজ পড়াতে গেলে মুসল্লিরা তার পেছনে নামাজ পড়তে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে মসজিদের মধ্যেই দুপক্ষের মুসল্লিরা সংঘর্ষে জড়ায় এবং ভাঙচুর করা হয় মসজিদ।

Advertisement

এ ঘটনায় ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, জাতীয় মসজিদে এ ধরনের হামলা ও ক্ষতিসাধনের ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত, নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।

আরএমএম/এমকেআর/জেআইএম