জাগো জবস

দেশি কর্মী নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সাইফুলের

সিহাব আহমেদ স্বাধীন

Advertisement

পঞ্চম বছরে পদার্পণ করলো বাংলাদেশের মিডিয়াটেক প্রতিষ্ঠান ব্যাকস্পেস। প্রতিষ্ঠানটির সিইও সাইফুল রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি ছোট টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি এই ৫ বছরে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় টেক ইন্ডাস্ট্রিতে অগ্রগ্রামী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

শুরুর গল্প সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল রহমান বলেন, ‘ব্যাকস্পেসের শুরু হয় প্রথম অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘রিভিউ জোন’র মাধ্যমে। এটি একটি প্রোডাক্ট রিভিউ প্ল্যাটফর্ম। যারা বিভিন্ন বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের পণ্য সম্পর্কে তথ্যবহুল ভিডিও উত্তর আমেরিকান (কানাডা, ইউএসএ) দর্শকের উদ্দেশ্যে প্রচার করে। বর্তমানে রিভিউ জোন নিজস্ব ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে তথ্যবহুল ভিডিও দিয়ে বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলোকে ২ কোটিরও বেশি দর্শকের কাছে উপস্থাপন করছে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাকস্পেস শুরু থেকেই নির্ভরযোগ্য তথ্যবহুল ভিডিও এবং দর্শকের পছন্দ-অপছন্দ দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দর্শকদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে দেওয়ার চেষ্টা করে এসেছে। এতে আমরা খুব দ্রুতই উত্তর আমেরিকার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করি। যেখান থেকে বৈশ্বিক পরিচিতিও বাড়ে। ফলে বিভিন্ন বৈশ্বিক বড় বড় টেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজের সুযোগও তৈরি হয়। ব্যাকস্পেসের সবচেয়ে বড় মাইলফলক তৈরি হয় অ্যামাজনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে।’

Advertisement

সাইফুল বলেন, ‘২০১৯ সালের শেষদিকে ব্যাকস্পেস বাংলাভাষি ব্যবসা সচেতন দর্শকদের জন্য ‘বিজনেস ইন্সপেকশন বিডি’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম লঞ্চ করে। যেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য, স্টার্টআপ, অর্থনীতি, ইন্ডাস্ট্রি এবং রিটেইল ব্যবসা নিয়ে কেস-স্টাডি, অ্যানালাইসিসের ওপর জোর দিয়ে বিভিন্ন তথ্যবহুল ভিডিও পাবলিশ করে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ৫ লাখেরও বেশি মানুষের পছন্দের ইউটিউব চ্যানেল হয়ে ওঠে। ব্যাকস্পেস এরই মধ্যে ৩ হাজারের বেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছে।’

আরও পড়ুন• নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে: নূপুর বিশ্বাসশখ থেকে মাইমুনার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প

শুরু থেকেই সাইফুল রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সেবা দেবে, এমন প্রতিষ্ঠান তৈরির। তার নেতৃত্বে অল্প সময়েই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন বেশ কিছু দক্ষ ও প্রাণবন্ত কর্মী। ২০২০ সালে ব্যাকস্পেস বাংলাদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সেবা দেওয়ার দিকেও মনোনিবেশ করে। এনিমেটেড কন্টেন্ট তৈরিতে এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির দক্ষতা থাকায় তারা ‘টেন স্টুডিও’ নামের একটি এনিমেশন স্টুডিও শুরু করে।

যারা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এনিমেটেড কন্টেন্ট এবং বিভিন্ন প্রোমোশোনাল ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে থাকেন। ২০২৩ সালে ব্যাকস্পেস তাদের নতুন ভেঞ্চার ‘প্রোডাক্ট ভিডিও স্টুডিও’র কার্যক্রম শুরু করে। রিভিউ জোন পরিচালনার অভিজ্ঞতা এবং ক্লায়েন্টদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে প্রোডাক্ট ভিডিও স্টুডিওর যাত্রা শুরু হয়। পণ্য প্রস্তুতকারকদের বিশ্বব্যাপী পণ্য প্রসারে ভিডিও তৈরি করে দেওয়ার সেবা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

Advertisement

ব্যাকস্পেসের এ সফলতার গল্প বাংলাদেশের টেক ও আইটি সেক্টরের জন্য অনুপ্রেরণার। পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তাদের সম্পূর্ণ টিমকে নিয়ে কক্সবাজারে দিনটি উদযাপন করে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ। সাইফুল বলেন, ‘এ সাফল্যের অংশীদার ব্যাকস্পেসের সব জনবল। ব্যাকস্পেস স্বপ্ন দেখে ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের একটি টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্বদরবারে নিজেদের অবস্থান আরও জোরালোভাবে জানান দেবে।’

এসইউ/এএসএম