ভ্রমণ

একদিনের ট্যুরে চাঁদপুর ভ্রমণে কী কী দেখবেন?

তানবির শেখ

Advertisement

ক্লান্ত শরীর ও মন চাঙা করতে একটু ঘুরতে পারলেই ক্লান্তির অবসান ঘটে। হঠাৎ এক প্রশান্তিময় সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ভাবতে থাকি কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়?

লম্বা সময় নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সংলাপ করে সবাইকে মেঘনার পাড় বেড়ানোর কথা বলি। তাই আমাদের এবারের গন্তব্য ইলিশ প্রিয় ভোজনরসিকদের শহর ঢাকার পাশের অবস্থিত চাঁদপুরে।

আমাদের গন্তব্য ইলিশের রাজধানী চাঁদপুরে তাই সবাই ভ্রমণ আনন্দে হৈ-চৈ করে বেড়াচ্ছে। সবাই মিলে যাত্রা শুরু করি নদীর পানিতে লঞ্চটি সাঁতার করছে, সুদৃশ্যে আমরা নদীর বিভিন্ন রূপের সৌন্দর্য দেখতে পাচ্ছি। নীল আকাশের ছায়ায়, আমরা আকাশে মেঘের খেলা দেখতে পাচ্ছি ও দূরত্বে প্রান্তিক গ্রাম ও জেলেদের জীবনের চিত্রও আমরা দেখছি।

Advertisement

লঞ্চ থেকেই চোখে দেখি ছোট্ট ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকা, পানির ঢেউয়ের মধ্যে নৌকার উলোট-পালোট দেখে সময় পেরিয়ে এসে পড়েছি চাঁদপুরের। বড় স্টেশনে পৌঁছে মেঘনার বুকে তাকিয়ে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে যাই অজানা স্থানে।

তিন নদীর সংগম স্থল। যেখানে আপনি দেখতে পাবেন ইলিশের ভাস্কর্য ও শিশুদের বিনোদনের ব্যবস্থা। সামনে এগিয়ে যাওয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ, যা মূলত রক্তধারার স্মৃতি। ভেতরে চোখ যতদূর যাবে সবুজ সব গাছপালা। আর বড় বড় গাছের ফাঁক গলিয়ে পড়ছে চিকন রৌদ্রের রশ্মি।

আরও পড়ুন• নীলগিরি ভ্রমণে কখন ও কীভাবে যাবেন, কত খরচ? • ঢাকার ভেতরেই ডে লং টুরে ঘুরে আসুন ফুলের রাজ্যে 

মোহনার কোলে ঘেঁষে বসার জন্য ইট-পাথরের রং-বেরঙের বেঞ্চ আছে, চাইলে আপনি তীরের ঢালে বসেও সারাদিন কাটাতে পারেন। সেখানে পার করা সময়টুকুতে ক্লান্তি আপনাকে চুইবে না বরং জিভেজল আনা কিছু খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন।

Advertisement

নিজ চোখে দেখতে পেরেছি নদীর যৌবন ও বিচিত্র সব মানুষের উপস্থিতি সবকিছুই আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। আমরা সেখানে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছি। এ স্থানটি ফটোগ্রাফার দের জন্য আদর্শ একটি স্থান।

ব্রিজের গোড়া থেকে সিএনজি যাত্রা শুরু হলো নতুন গন্তব্যের উদ্দেশে। ২৫ মিনিট পর চলে এলাম হরিনা ফেরি ঘাটে এসে ইলিশ ভাঁজা খাই। দামদর করে খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ বটে। বিকেলের আকাশে একঝাঁক পাখি ওড়াউড়ি দেখে আমারও দাড়িয়ে দেখছি আর পথ চলছি।

এই রোমাঞ্চকর ভ্রমণ শেষে রাতের খাবার শেষে আমরা পুনরায় আমাদের বাসায় ফিরবার পথে নেমে পড়ি। এই যাত্রায় সবকিছুই ছিলো উপভোগ্য। সারাদিন ঘুরে বেড়িয়ে আমাদের মোটেও কোনো ক্লান্তি নেই বললেই চলে। পরিশেষে একটি পরামর্শ ভ্রমণের যে কোনো পরিস্থিতিতে মানুষের প্রতিযোগী না হয়ে সহযোগী হবেন, তাহলেই ভ্রমণ সার্থক।

লেখক: লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী

জেএমএস/জিকেএস