লাইফস্টাইল

শীতে পানিশূন্যতায় ভুগছেন কি না বুঝে নিন ৯ লক্ষণে

শীতে পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়। পানিশূন্যতা কারও কারও ক্ষেত্রে মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। এমনকি হঠাৎ বিকল হতে পারে কিডনি।

Advertisement

এ বিষয়ে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. এম এ সামাদ জাগোনিউজকে বলেন, ‘পানিশূন্যতার কারণে প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়। এছাড়া হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। এছাড়া কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম এক কারণ হলো পানিশূন্যতা।’

আরও পড়ুন: শীতে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? কোন খাবারে মিলবে সমাধান?

বিশেষজ্ঞের মতে, শীতে যেহেতু ঘাম হয় কম, ফলে পানি পিপাসাও কম পায়। আর ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে দিনে অনেকেই ৩-৪ লিটার পানি পান করেন না। তবে শীতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই।

Advertisement

পানিশূন্যতার লক্ষণ কী কী? ১. মাথাব্যথা ২. রক্তচাপ কমে যাওয়া ৩. ইউরিন ইনফেকশন ৪. কোষ্ঠকাঠিন্য ৫. দুর্বলতা ৬. ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ৭. অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ৮. ওজন বেড়ে যাওয়া ৯. কিডনির বিকল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। অল্প মাত্রার পানিশূন্যতার লক্ষণ চেহারা লাল হয়ে যাওয়া অতিরিক্ত তৃষ্ণা শুষ্ক, উষ্ণ চামড়া প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া (১ মাসের কম বয়সিদের ক্ষেত্রে ছয়বারের কম ডায়াপার বা কাঁথা ভেজানো, এবং এর বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে আট ঘণ্টার ভিতরে একবারও কাঁথা না ভেজানো বা প্রস্রাব না করা) শুষ্ক জিহ্বা এবং ঠোঁট কান্নার সময় চোখের পানি বের হবে না। মধ্যম থেকে তীব্র পানিশূন্যতার লক্ষণ নির্জীব হয়ে পড়া খিঁচুনি পেট ফেঁপে থাকা বাচ্চার মাথায় দেবে যাওয়া নরম স্থান তৈরি হওয়া হার্ট ফেইল দেবে যাওয়া চোখ চামড়া কুঁচকে যাওয়া খানিক চামড়া ধরে টেনে ছেড়ে দিলে আবার আগের অবস্থানে ফিরে যেতে অনেক সময় লেগে যাওয়াদীর্ঘ এবং ঘন শ্বাস পালস দ্রুত কিন্তু দুর্বল হয়ে পড়া। তীব্র পানিশূন্যতার লক্ষণ উপরের সকল লক্ষণগুলোই আরও অনেক বৃদ্ধি পাওয়া হাইপোভলিউমিক শকের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে, যেমন– চেতনা কমে যাওয়া প্রস্রাবের পরিমাণ আরও কমে যাওয়া শীতল হাত পা আরও দুর্বল পালস (কবজিতে টের নাও পাওয়া যেতে পারে) রক্ত চাপও না পাওয়া যেতে পারে হাত পা নীল হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: ঠান্ডায় শরীর গরম রাখবে যে খাবার

এ সময় আপনি যদি ডিহাইড্রেশনের বিভিন্ন লক্ষণ যেমন- শুষ্ক মুখ, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা ও বারবার পিপাসা অনুভব করেন তাহলে অল্প অল্প করে পানি পান করুন।

এর পাশাপাশি দিনে পর্যাপ্ত তরল পান করুন। এতে করে প্রস্রাবের রং পরিষ্কার হবে আর পানিশূন্যতার ঝুঁকিও কমবে। আর যদি বমি বা ডায়রিয়া হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: হেলথলাইন/মেডলাইন প্লাস

Advertisement

জেএমএস/এএসএম