লাইফস্টাইল

ঘুম কম হচ্ছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে

ঘুমের সমস্যা হলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। একটানা অনেকদিন রাতে ঠিকভাবে ঘুম না হলে একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

Advertisement

তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম হওয়া প্রয়োজন। আর সেই ঘুম রাতে হওয়াই দরকার। কারণ রাতে ঘুম দিনে ঘুমিয়ে লাভ হয় না।

আরও পড়ুন: যে ভুলগুলো শুধরে নিলেই নতুন বছর কাটবে ভালো 

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। আর এই পরিমাণ ঘুম না হলে একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Advertisement

আপনার যে সঠিক পরিমাণে ঘুম হচ্ছে না ও সেই কারণেই শরীর খারাপ হচ্ছে সেটা বুঝবেন কীভাবে? বেশ কয়েকটি লক্ষণ থেকে এই সমস্যা চেনা ও বোঝা যায়। সেগুলো কী কী, জেনে নিন-

১. রাতে যদি সঠিক পরিমাণে ঘুম না হয় তাহলে সারাদিন কাজে অ্যানার্জি পাবেন না আপনি। সারাদিনই একটা ক্লান্তি অবসন্নভাব থাকবে। ঝিমিয়ে থাকবেন ও অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।

আরও পড়ুন: শীতে হৃদরোগ এড়াতে কী করবেন? 

২. রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতে না পারলে দিনের বেলা প্রায় সারাক্ষণই ঘুম পাবে। কাজের ফাঁকে অজান্তেই হয়তো চোখ লেগে যাবে। ফলে কাজে ভুল হয়েও যেতে পারে। তাই রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমনোর চেষ্টা করুন।

Advertisement

৩. অনেকেই অফিসের কাজ বিশেষ করে শিফটিং ডিউটির কারণে ঠিকভাবে ঘুমাতে পারেন না। একদিন ১০ ঘণ্টা ঘুমোতে পারছেন তো একদিন ৪ ঘণ্টা।

এ রকম হলে নিজেকেই সারাদিনের রুটিন আগে থেকে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। যাতে কাজের মধ্যেও সঠিক পরিমাণ বিশ্রামের সুযোগ পান আপনি।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসের রোগীরা চোখে যে লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন 

৪. প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে ঘুম না হলে হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি অ্যাসিডিটি, গ্যাস এসব সমস্যা বাড়তে পারে। তাই রাতে পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।

৫. রাতে ঠিকভাবে ঘুম না হলে অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায় পরের দিন সকাল থেকে মাথা ভার হয়ে থাকে কিংবা মাথায় তীব্র যন্ত্রণা হয়। সাময়িক আরামের জন্য হয়তো আপনি ওষুধ খেয়ে ফেলেন। কিন্তু সেটা সমাধান নয়।

আরও পড়ুন: দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর ঘুম পায় কেন? 

৬. ঘুম ঠিকঠাক না হলে শরীরের পাশাপাশি আপনার মন-মেজাজও ভালো থাকবে না। অকারণ খিটখিটে ভাব, রেগে যাওয়া ও কোনো কাজে মনঃসংযোগ করতে না পারাও কিন্তু কম ঘুম হওয়ার লক্ষণ।

তাই সবকিছুর মধ্যেও ঘুমের সময় বের করে নিতে হবে। আর ঘুম যেন গভীর হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যদি ঘুমের সমস্যা বা অনিদ্রা দেখা দেয় তাহলে অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: এবিপি লাইভ

জেএমএস/জিকেএস