ধর্ম

তিলাওয়াতের সময় সিজদার আয়াত বাদ দেওয়া কি মাকরুহ?

কোরআনে এমন কিছু আয়াত আছে যেগুলো পড়লে বা শুনলে সিজদা দেওয়া ওয়াজিব। ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মতে কোরআনে এ রকম ১৪টি আয়াত আছে। সিজদার আয়াত পড়ে সিজদা করার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেছেন,

Advertisement

إِذَا قَرَأَ ابْنُ آدَمَ السَّجْدَةَ فَسَجَدَ اعْتَزَلَ الشَّيْطَانُ يَبْكِي يَقُولُ يَا وَيْلَهُ أُمِرَ ابْنُ آدَمَ بِالسُّجُودِ فَسَجَدَ فَلَهُ الْجَنَّةُ وَأُمِرْتُ بِالسُّجُودِ فَأَبَيْتُ فَلِيَ النَّارُ

মানুষ যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করে সিজদা দেয়, শয়তান তখন কাঁদতে কাঁদতে দুরে সরে পড়ে এবং বলতে থাকে হায়! দুর্ভাগ্যা! মানুষকে সিজদার নির্দেশ দেওয়া হলো, তারা সিজদা করলো, এর বিনিময়ে তারা জান্নাত লাভ করবে। আমাকে সিজদার নির্দেশ দেওয়া হলে কিন্তু আমি তা অস্বীকার করেছিলাম, ফলে আমি যাবো জাহান্নামে। (সহিহ মুসলিম: ৮১)

রাসুল (সা.) বড় জমায়েতে কোরআন তেলাওয়াত করার সময় যখন সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করতেন তখন তিনি নিজেও সিজদা করতেন এবং সাহাবারাও তার সাথে সিজদা করতেন। বর্ণিত আছে, মক্কা বিজয়ের সময় রাসুল (সা.) যখন সিজদার আয়াত তেলাওয়াত করছিলেন, তখন মাটিতে দাঁড়ানো সাবাবিরা মাটিতে এবং ঘোড়া ও উঠের পিঠে সওয়ার সাহাবিরা তাদের বাহনে বসেই সিজদা করেন।

Advertisement

রাসুল (সা.) খুতবা দেওয়ার সময় সেজদার আয়াত তেলাওয়াত করলে মিম্বর থেকে নেমে সিজদা করে আবার খুতবা শুরু করতেন। তবে তিলাওয়াতের পরপরই সিজদা দিয়ে দেওয়া জরুরি নয়। তিলাওয়াতের পর যে কোনো সময় সিজদা আদায় করা যায়।

সিজদা ওয়াজিব হওয়ার ভয়ে কোরআন তিলাওয়াতের সময় সিজদার আয়াত বাদ দিয়ে পড়া মাকরুহ তাহরিমি। এটা কোরআনের আদব পরিপন্থী কাজ। কোরআন পড়ার সময় ধারাবাহিকভাবেই পড়ে যাওয়া কর্তব্য। ওই সময় সিজদা দেওয়ার সময় সুযোগ থাকলে পরে যে কোনো সময় সিজদা দেবে।

ওএফএফ/জিকেএস

Advertisement