লাইফস্টাইল

এ সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায় কেন?

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ মানেই খাওয়া-দাওয়া। কমবেশি সবারই এসময় ভারি খাবার খাওয়া হয়। বিশেষ করে প্রতিবেলায় মাংস বেশি খাওয়া, বিভিন্ন দাওয়াতে ভারি খাবার খাওয়ার ফলে দেখা দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। এটা হয় মূলত সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্য।

Advertisement

অল্প কয়েক দিনের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যতার উপসর্গ দেখা দিলে অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যতার সময় যদি তিন মাসের কম হয়, তাহলে এই অবস্থাকে সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যতা বলে। যেমন ধরুন কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাংস বা ভারি খাবার খাওয়ায় দেখা গেলো দুই-তিন দিন মলত্যাগ হচ্ছে না কিংবা খুব শক্ত ও অল্প অল্প মলত্যাগ হচ্ছে, তাহলে এই অবস্থাকে সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্য বলে।

অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় সারাবছর সুস্থ থাকলেও কোরবানি ঈদ ও এর পরের কয়েকদিন প্রচুর মাংস খাওয়ার কারণে মলত্যাগ হয় না। ফলে পেট ফুলে যায় ও ব্যথা হয়। এই অবস্থাকেও সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। অ্যাকচু কনস্টিপেশন বা সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যতা যেসব কারণে হতে পারে-

আরও পড়ুন: বেশি খাবার খেয়ে ফেললে স্বস্তি পেতে দ্রুত যা করবেন

Advertisement

>> আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া তথা শাক সবজি কম খাওয়া>> নিয়মিত মলত্যাগ না করা বা মলত্যাগ আটকে রাখা>> নিয়মিত খাবার না খাওয়া>> পরিমিত ঘুম না হওয়া>> চিন্তা অবসাদগ্রস্ত থাকা ইত্যাদি>> আইবিএস এর সমস্যা থাকা>> ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যেমন-ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, এন্টি স্পাজমোডিক, এন্টি ডায়েরিয়াল ড্রাগস, আয়রন ট্যাবলেট, এলুমিনিয়াম যুক্ত অ্যান্টাসিড খেলে।>> দৈনিক অত্যাধিক পরিমাণ প্রোটিন কিংবা বেশি মাংস খেলে সাময়িক কোষ্ঠকাঠিন্যতা দেখা দিতে পারে।

এসময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে বেশি করে পানি পান করুন। মাংসের সঙ্গে পরিমাণমতো শাক-সবজি, গাজর, শসা, সালাদ ইত্যাদি রাখুন মেন্যুতে।

কেএসকে/এমএস

Advertisement