ফিচার

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে উপহার

নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন, ‘শিক্ষা হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। যার মাধ্যমে পৃথিবীকে বদলে ফেলা যায়।’ আমাদের বাবা-মায়েদের একটিই প্রত্যাশা, শিক্ষার আলোর মাধ্যমে তার সন্তান অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তবে সাধ থাকলেও অনেকের সাধ্য নেই। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার আলো থেকে অনেকটাই পিছিয়ে মোহাম্মাদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের শিশুরা।

Advertisement

শিক্ষার আলো থেকে যেন কেউ বঞ্চিত না হয়, তাই সরকারি ও বেসরকারিভাবে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারি উদ্যোগে ঘাসফুলের ‘শিখন কেন্দ্র’ অবহেলিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করে।

রাজধানীতে নিম্ন আয়ের ও বস্তিতে বসবাসরত পরিবারের শিশুদের বিনা মূল্যের বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত ঘাসফুলের ‘শিখন কেন্দ্র’। মূলত ঝরে পড়া শিশুরাই এ শিখন কেন্দ্রের শিক্ষার্থী। ঘাসফুলের শিখন কেন্দ্রের প্রতিটি শাখায় পড়াশোনায় উৎসাহিত করার পাশাপাশি ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে স্কুল ড্রেস ও ব্যাগ বিতরণ করা হয়।

আরও পড়ুন: খাদ্য ভেজালের দৌরাত্ম্যে হুমকির মুখে শিশুরা

Advertisement

বিনা পয়সায় স্কুল ড্রেস ও ব্যাগ পেয়ে খুশিতে আত্মহারা শিশুগুলো। তাদের মুখে চাঁদের হাসি। নতুন ড্রেস পরে আর কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে শিশুরা যাবে পাঠশালায়। তাই সরকারি সহায়তায় ঘাসফুলের এমন উদ্যোগ প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে এলাকাবাসীর মুখে মুখে।

অভাবের তাড়নায় জেনেভা ক্যাম্পের শিশুগুলোর পোশাক জোটে না। সেখানে স্কুল ড্রেস বানানো কিংবা ব্যাগ কেনা অনেকটাই বিলাসিতা। কিন্তু পরিবার তো চায় তাদের আদরের সন্তানকে প্রয়োজনীয় সব কিনে দিতে। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্যই যত বাধা। তাই ঘাসফুলের এমন উদ্যোগে খুশি সন্তানদের বাবা-মায়েরাও।

শিশুদের উল্লাস চোখে পড়ার মতো। এ যেন অন্যরকম আনন্দ। এখন শুধু নতুন সাজে পড়তে আসার পালা।

আরও পড়ুন: শিক্ষায় পিছিয়ে চা বাগানের শিশুরা

Advertisement

বাংলাদেশ সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর পরিচালনায় ২০২১ সাল থেকে রাজধানীর ২০টি কেন্দ্রে ৪০টি স্কুল পরিচালনা করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ঘাসফুল’। এসব বিদ্যালয়ে ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বিনা মূল্যে পড়াশোনা করছে। পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে।

এসইউ/জেআইএম