ধর্ম

সামর্থ্যবানরা হজ না করলে কী হবে?

হজ নামাজ রোজা ও জাকাতের মতো ফরজ ইবাদত। তবে তা সামথ্যবানদের জীবনে একবার আদায় করা ফরজ। কিন্তু যদি কারও সামর্থ্য থাকার পরও ফরজ হজ আদায় না করে তবে তার কী হবে?

Advertisement

হজ সামর্থ্যবানদের ওপর জীবনে একবার করা ফরজ। সামর্থ্য থাকার পরও ইচ্ছাকৃত যারা হজ করে না; এটি তাদের জন্য কবিরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা সামথ্যবানদের জন্য হজ ফরজ করে ঘোষণা করেন-

وَلِلّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً وَمَن كَفَرَ فَإِنَّ الله غَنِيٌّ عَنِ الْعَالَمِينَ

‘আর এ ঘরের হজ করা সে সব মানুষের জন্য অবশ্যক কর্তব্য; যারা সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে । আর যে প্রত্যাখ্যান করবে সে জেনে রাখুক- আল্লাহ সারা বিশ্বের কোনো কিছুরই পরোয়া করেন না।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯৭)

Advertisement

হজ না করলে কবিরা গুনাহ হবে

হজ শারিরীক,মানসিক, আত্মিক ও আর্থিক ইবাদত। সাধারণত এটিকে শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত হিসেবেই সবাই জানে। তবে হজের জন্য শারীরিক ও আর্থিক প্রস্তুতির পাশাপাশি মানসিক ও আত্মিক প্রস্তুতিও জরুরি।

হজ করার সামর্থ্য ও শর্ত পূরণের সামর্থ্য থাকার পরও যেসব নারী-পুরুষ ইচ্ছাকৃতভাবে হজ করা থেকে বিরত থাকে। আর এ অবস্থায় মারা যায় তবে এটি তাদের জন্য কবিরাহ গুনাহের কারণ হয়। এমনকি হজ করা থেকে বিরত থাকা ব্যক্তি আল্লাহর জিম্মাদারিতে থাকে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বয়ং নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহর ঘর পর্যন্ত পৌঁছার (খরচ বহনের) মতো ধন-সম্পদ ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হজ না করে তবে সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা খ্রিস্টান হয়ে মারা যাক তাতে (আল্লাহর) কোনো ভাবনা নেই।’ (তিরমিজি)

Advertisement

সুতরাং হজের জন্য সামর্থ্যবান সব নারী-পুরুষের উচিত, হজ করার সামর্থ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করা। কেননা কোনো কারণে যদি হজ ফরজ হওয়ার পর তা ইচ্ছাকৃত আদায় না করে তবে ওই ব্যক্তি কবিরা গুনাহের অপরাধে অপরাধী হবেন।

আর হজ ফরজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদায় না করলে পরে যদি তার আর্থিক সচ্ছ্বলতা চলে যায় কিংবা গরিব হয়ে যায় তবে তার ওপর হজের ফরজ কাজ থেকে যাবে। সেক্ষেত্রেও হজ না করার কারণে কবিরা গুনাহের অপরাধে অপরাধী হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব সামর্থ্যবান নারী-পুরুষকে হজ ফরজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করার তাওফিক দান করুন। কবিরা গুনাহ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/এএসএম